বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৫ আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। সম্মেলনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন ২০২৬ মেয়াদের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি।
দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় সংগঠনের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আর দলে থাকতে চান না।
সে হিসেবে চলতি বছরই দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে চান তিনি। গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী, সারা দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার সদস্যের সরাসরি গোপন ভোটের মাধ্যমে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত সভাপতি একজনকে সেক্রেটারি মনোনীত করবেন।
এবারের সম্মেলনে সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে বেশ কয়েকজন নেতার নাম জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে। শীর্ষ পদটির লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ এবং কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমও।
তবে দলটির ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, শিবিরের রাজনীতিতে সেক্রেটারিই সাধারণত কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়ে থাকেন। এমন না হওয়ার নজির খুব একটা দেখা যায়নি সংগঠনটিতে। সে হিসেবে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম দলটির নতুন কাণ্ডারি হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। এক্ষেত্রে আলোচনায় থাকা সিবগাতুল্লাহ, আজিজুর রহমান আজাদ ও সাদিক কায়েমের সেক্রেটারি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, আলোচনায় থাকা নেতাদের মধ্য থেকেই সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে যিনি সভাপতি নির্বাচিত হবেন, ব্যতিক্রম না হলে তিনি আলোচনায় থাকা বাকি নেতাদের মধ্য থেকেই একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত করবেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ভোটারদের একটি বড় অংশ তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে মেধাবী ও কৌশলী নেতৃত্বের দরকার। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র রাজনীতির নতুন ধারায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করাও নতুন কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে।
তাদের মতে, ২০২৫ সালের এ সম্মেলন ছাত্রশিবিরের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ইউটি/টিএ