ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় তদন্তে নেমেছে তুরস্ক ও লিবিয়া

তুরস্কের রাজধানী আংকারার কাছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় যৌথ তদন্ত জোরদার করেছে তুরস্ক ও লিবিয়া। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে দুই দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে। খবর আল জাজিরার।

লিবিয়ার অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল মাহমুদ আশুরের নেতৃত্বে একটি সামরিক প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) আংকারার প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তরে যান। এর আগে তারা মামলাটি দেখভাল করা তুর্কি কৌঁসুলিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

গত মঙ্গলবার আংকারা এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই লিবিয়াগামী একটি ব্যক্তিগত জেট বিমানে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। বিমানটিতে ছিলেন লিবিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ। তুরস্কের যোগাযোগ প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, উড্ডয়নের প্রায় ১৬ মিনিট পর বিমানটি জরুরি অবতরণের অনুরোধ করে।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে আবার আংকারার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। তবে অবতরণের প্রস্তুতির সময় তিন মিনিট পর রাডার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আংকারার হাইমানা জেলার কেসিক্কাভাক গ্রামের কাছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় তিনজন ক্রুসহ মোট আটজন নিহত হন।

ঘটনার পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জরুরি উদ্ধার অভিযান চালানো হয় এবং একাধিক সংস্থা তদন্তে যুক্ত হয়।

এদিকে নিহতদের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হওয়ায় জানাজা ও দাফনের সময়সূচি পিছিয়ে যেতে পারে। আল-হাদ্দাদের মরদেহ লিবিয়ায় ফেরত নেওয়ার প্রস্তুতি চললেও চূড়ান্ত সময় এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

লিবিয়ার মিসরাতা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জানান, দুর্ঘটনার তীব্রতার কারণে মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় দেহাংশ ছড়িয়ে পড়ায় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠেছে।

লিবিয়ায় আল-হাদ্দাদকে পশ্চিমাঞ্চলের বিভক্ত সামরিক কাঠামোকে সংগঠিত করার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হতো। তার মৃত্যু দেশটির সামরিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আরপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন চালিয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া: কিম জং উন Dec 26, 2025
img
অর্থনৈতিক ভাবে আমার নিজেকে বুদ্ধিমতী মনে হয়: কোয়েল মল্লিক Dec 26, 2025
img
আম্পায়ারকে গালিগালাজ, নির্বাসনের পথে সিএবি কর্তা Dec 26, 2025
img
জামায়াত-এনসিপির আসন সমঝোতা নিয়ে ৮ দলীয় জোটের বিবৃতি Dec 26, 2025
img
চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমে চোখে সর্ষেফুল দেখছে অস্ট্রেলিয়া Dec 26, 2025
img
আজ বাদ-জুমা সারাদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপির দোয়ার আয়োজন Dec 26, 2025
img
দিপু দাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন জাহ্নবী কাপুর Dec 26, 2025
img
মেঘনায় ২ লঞ্চের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের Dec 26, 2025
img
ঘন কুয়াশায় মাঝপদ্মায় আটকা ৩ ফেরি Dec 26, 2025
img
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 26, 2025
img
ভারতে বড়দিন উদযাপনে হামলা-ভাঙচুর, আটক ৪ Dec 26, 2025
img
ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর Dec 26, 2025
img
দীপিকার দাবিকে সমর্থন জানালেন কিয়ারা Dec 26, 2025
img
কারাগারেই থাকতে হবে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাধর নেতা নাজিব রাজাককে Dec 26, 2025
img
চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৫৩ প্রার্থী Dec 26, 2025
img
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি পরিচালক Dec 26, 2025
img
দেশে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ ও রুপা, জেনে নিন বাজারদর Dec 26, 2025
img
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন আরো এক বিদেশী ক্রিকেটার Dec 26, 2025
img
আজ শহীদ জিয়ার সমাধি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রাতে দুই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড Dec 26, 2025