রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণের সময়ে পর্যটকবাহী বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার কিছু আগে বরকল সুবলং নৌ-চ্যানেলের শীলছড়িমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুবলং বাজার এলাকা থেকে ফেরার সময় কাঠের বোটটি শীলছড়িমুখ এলাকায় এসে কাপ্তাই হ্রদে ডুবে যায়। এ সময় আসেপাশে বোট থেকে মানুষ এসে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় বোটটিতে প্রায় নারী ও শিশুসহ ২০ থেকে ২২ জন ছিল। দ্রুত উদ্ধার করায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার সময় পর্যটকরা বোটের ছাদেই অবস্থান করছিলেন এবং কারও কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিল না।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গার এনপি গ্যাস কোম্পানির সিবিএর সভাপতি মো. মনির হোসেন জানান, এটি কোম্পানির সদস্যদের পরিবারদের নিয়ে রাঙামাটি ভ্রমণে আসা। তবে গতকাল কিছু সদস্য ও তার পরিবার মিলে কাপ্তাই হ্রদে বেড়াতে যায়। তখন তাদের বোটটি ছোট ছিলো এবং সবাই বোটের ছাদে বসে ছিলো। তখন পাশ থেকে বড় একটি বোটের ঢেউ এ বোটটি উল্টে যায়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটে নি।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সভাপতি মোস্তফা কামাল উদ্দিন জানান, এনটি গ্যাস কোম্পানি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থেকে প্রায় শতাধিক পর্যটক রাঙামাটি বেড়াতে আসেন। ৯টি রুম নিয়ে আমার হোটেলও কিছু ছিলো। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি। তাদের মূল অনুষ্ঠান আজ। অনেকে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি বেড়াতে এসে কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ করে। তখন এ নৌ ডুবির ঘটনা ঘটে।
রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো খাইরুল আলম জানান, বোটটির তুলনায় যাত্রী বেশি ছিলো এবং সবাই ছাদে বসে ছিলো। বোটে লাইফ জ্যাকেট থাকলেও পর্যাপ্ত ছিলো না এবং যা ছিলো তাও পর্যটকরা পরিধান করেনি বলে শুনেছি। বিভিন্ন ঘাট থেকে পর্যটকদের উঠা নামা করে এবং আমাদের লোকবলের সংকটের কারণে আমরাও সেইভাবে বিষয়টি দেখার সুয়োগও পাইনি। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ঘাট কমিয়ে আনা যায় কিনা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আসরাফী জানান, আমরা এ বিষয়টি অবগত। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বোট মালিক সমিতিগুলোর সঙ্গে কথা বলেছে। আর পর্যটন তো জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন।
কেএন/এসএন