নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভবন নির্মাণ এবং ওষুধসহ বিভিন্ন সেবায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই অনুসন্ধানের বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নীলফামারীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওষুধসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল দুদক রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসনের নেতৃত্বে এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছিল বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে সদর জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর ২০১১ সালে শুরু হওয়া ৬ তলা নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তৈরি শেষ হওয়ার দীর্ঘ সময় হলেও ভবনটির অধিকাংশ অংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
ভবনটি চালুর আগেই দরজা জানালা ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও উঠে গেছে টাইলস। অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে অপারেশন থিয়েটারে সরঞ্জাম, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ওষুধ। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এক রুমে ১০ থেকে ১২ জন রোগীকে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
টিজে/টিএ