অ্যাশেজের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৯৩ হাজার ৪৪২ দর্শক মাঠে হাজির হয়েছিল গতকাল। মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও কানায় কানায় পূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম। তৃতীয় দিনের জন্যও প্রায় লাখখানেক টিকিট বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু দুই দিনেই শেষ হয়ে গেল বক্সিং ডে টেস্ট। দর্শকদের হতাশার পাশাপাশি সম্প্রচারস্বত্ব ও বিজ্ঞাপন থেকে প্রত্যাশিত অর্থ হাতছাড়া হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।
পার্থ টেস্টও দুই দিনে শেষ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের ক্ষতি হয়েছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ কোটি টাকা। মেলবোর্ন টেস্টেও ক্ষতির পরিমাণ ৮২ কোটি টাকা বলে গণমাধ্যমের খবর। এর আগে মেলবোর্নে প্রথম দিনে ২০ উইকেট পড়ার পর হতাশা প্রকাশ করেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তিনিও স্বীকার করলেন, এভাবে দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়া বোর্ডের জন্য ক্ষতির। তাকে প্রশ্ন করা হয়, এক দিনে ২০ উইকেট পড়া অনেক বেশি কি না। গ্রিনবার্গ বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর ছোট করে দিতে হলে বলব, হ্যাঁ। সমর্থক হিসেবে এই ধরনের ম্যাচ দেখা মন্ত্রমুগ্ধকর ও উপভোগ্য হলেও আমাদের দাবি টেস্ট ক্রিকেট আরও বেশি দিন চলুক। ছোট টেস্ট ব্যবসার পক্ষে খুবই খারাপ। এর থেকে কড়া উত্তর আর হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাট ও বলের মধ্যে আরও ভারসাম্য রাখা দরকার। আগের দিন বোলারেরা বেশি সুবিধা পেয়েছে। তবে ব্যাটারদেরও আরও যত্ন নিয়ে খেলা দরকার ছিল। সব দোষের পিচের ওপর দিলে চলবে না।’ এই ধরনের ছোট ম্যাচের পুনরাবৃত্তি আর না ঘটাতে তার প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করবে কি না প্রশ্নে গ্রিনবার্গের উত্তর, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা পিচের প্রস্তুতি নিয়ে কোনও কথা বলি না। পিচ যারা তৈরি করে, তাদেরকে নিজের মতো করে করার অধিকার দেওয়া আছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ক্রিকেট খেলার ওপর যেভাবে প্রভাব পড়ছে, তাতে পিচের দিকে নজর না দেওয়া কঠিন।’
তিনি শেষে বলেন, ‘তবে আমি বলছি না যে, আমরা মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব এনিয়ে। কিন্তু আমরা কী প্রত্যাশা করছি তার ওপর ভিত্তি করে ওরা কী করছে সেদিকে নজর থাকবে।’
এসকে/টিকে