ম্যানচেস্টার সিটির কাছে শীর্ষস্থান হারানোর আধা ঘণ্টা পর, মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ফুটবলে আলো ছড়াল আর্সেনাল। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনকে হারিয়ে আবার লিগ টেবিলের চূড়ায় উঠল মিকেল আর্তেতার দল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। মার্টিন ওডেগোরের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আত্মঘাতী গোল করে সফরকারীরা।
লিগের গত আসরে ব্রাইটনের বিপক্ষে দুই দেখাতেই পয়েন্ট হারিয়েছিল আর্সেনাল। এবার বেশিরভাগ সময় পজেশন ধরে রেখে এবং আক্রমণে আধিপত্য করেই জিতল তারা। ১৮ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট হলো ৪২। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যেতে পারত আর্সেনাল; কিন্তু ডি-বক্সের মুখ থেকে যথেষ্ট জোরে শট নিতে পারেননি ভিক্তর ইয়োকেরেশ। সহজেই ঝাঁপিয়ে বল গ্লাভসে জমান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর বুকায়ো সাকার দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শটও আটকে দেন বার্ট ফেরব্রুগেন।
চাপ ধরে রেখে চতুর্দশ মিনিটে গোল পেয়ে যায় আর্সেনাল। গোলরক্ষকের বাড়ানো বল ধরে আক্রমণে উঠতে পারেনি ব্রাইটন, বরং নিজেদের সীমানায় পজেশন হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর, সাকার পাস ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে জোরাল শটে কাছের পোস্ট ঘেঁষে দলকে এগিয়ে নেন মার্টিন ওডেগোর।
বিরতির আগ মুহূর্তে নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে, ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যান ইয়োকেরেশ। ডি-বক্সের বাইরে গিয়ে তাকে ফাউল করেন ব্রাইটন গোলরক্ষক ফেরব্রুগেন। তার ভাগ্য ভালোই বলতে হবে, হলুদ কার্ড দেখেই পার পেয়ে যান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে নিজেদের ভুলে আরও পিছিয়ে পড়ে ব্রাইটন। ডেক্লান রাইসের কর্নারে বল প্রতিপক্ষের আর কারো কাছে যাওয়া আটকাতে হেড করেন জর্জে, কিন্তু বল চলে যায় জালে!
৬৪তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় ব্রাইটন। ইয়াসিন আইয়ারির শট দূরের পোস্টে প্রতিহত হওয়ার পর, ফিরতি বল ধরে জোরাল শটে ব্যবধান কমান দিয়েগো গোমেস।
১২ মিনিট পর দাভিদ রায়ার অসাধারণ সেভে এগিয়ে থাকে আর্সেনাল। বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন ইয়ানকুবা, ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
লড়াইয়ে নতুন নাটকীয়তা ফেরাতে এরপর আর তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি ব্রাইটন।
এমআর/টিকে