বিদেশে জন্ম নেয়া বা দত্তক গ্রহণ করা কানাডীয় সন্তানদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে কানাডিয়ান সরকার।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দেশটি জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইনকে আরও ন্যায্য, স্পষ্ট ও আধুনিক পারিবারিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কার্যকর হওয়া বিল সি-৩ (সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট সংশোধন, ২০২৫) অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর আগে জন্ম নেয়া ব্যক্তিরা, যারা প্রথম প্রজন্ম সীমা বা পুরোনো নিয়মের কারণে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তারা এখন কানাডীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন। তারা নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আবেদনও করতে পারবেন।
নতুন আইনে ভবিষ্যতের জন্যও একটি স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে জন্ম বা দত্তক নেয়া কোনো কানাডীয় নাগরিকের বিদেশে জন্ম নেয়া বা দত্তক নেয়া সন্তান নাগরিকত্ব পাবেন। তবে, শর্ত হলো, সন্তানের জন্ম বা দত্তক গ্রহণের আগে ওই অভিভাবককে অন্তত তিন বছর কানাডায় বসবাসের প্রমাণ দিতে হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই পরিবর্তন বিদেশে বসবাসরত কানাডীয় পরিবারগুলোর জন্য ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং একই সঙ্গে কানাডার সঙ্গে বাস্তব ও প্রমাণিত সম্পর্কের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের নীতিকে জোরদার করবে।
দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা অনেক মানুষের জন্য এই সিদ্ধান্ত স্বস্তির বলে উল্লেখ করেছে দেশটির সরকার। নতুন নিয়ম কানাডীয় পরিবারের অংশ হিসেবে তাদের অবস্থানকে স্বীকৃতি দেবে এবং নাগরিকত্বের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তির অনুভূতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
এই নিয়ম অনুযায়ী কানাডিয়ান যারা নিজ দেশের বাইরে অন্য দেশে চাকরির সুবাদে বা অন্য কোনো কারণে রয়েছেন, তাদের সন্তান ভিন্ন দেশে জন্মগ্রহণ করলেও তারা কানাডিয়ান নাগরিকত্ব পাবেন। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (আইআরসিএস)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
কেএন/টিকে