পিচ রেটিং দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ‘দ্বিমুখী নীতি’র অভিযোগ তুলে আইসিসিকে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) কড়া ভাষায় খোঁচা দিয়েছেন কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। গাভাস্কার বলেছেন যে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মাত্র দুই দিনে শেষ হলেও চতুর্থ অ্যাশেজ টেস্টের পিচটি সম্ভবত ‘ভালো’ রেটিং পাবে।
মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিনেই ২০টি উইকেট পড়েছিল- যা ১৯৫১ সালে অ্যাডিলেড ওভালে ২২ উইকেট পড়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ড। দ্বিতীয় দিনে আরও ১৬টি উইকেট পড়ে এবং পুরো টেস্ট ম্যাচটি মাত্র ১৪২ ওভারের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
খেলা শেষে গাভাস্কার মনে করিয়ে দেন যে, পার্থেও প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট দুই দিনে শেষ হওয়া সত্ত্বেও পিচটিকে ‘খুব ভালো’ রেটিং দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন যে, যেহেতু মেলবোর্ন টেস্টে রঞ্জন মাদুগালের পরিবর্তে নতুন ম্যাচ রেফারি হিসেবে জেফ ক্রো ছিলেন, তাই পিচটি ‘খুব ভালো’র পরিবর্তে কেবল ‘ভালো’ রেটিং পেতে পারে।
স্পোর্টস্টার-এ নিজের কলামে গাভাস্কার লিখেছেন, ‘যেহেতু মেলবোর্ন ও সিডনি টেস্টের জন্য জেফ ক্রো নতুন ম্যাচ রেফারি হিসেবে আছেন, তাই রেটিং ভিন্ন হতে পারে। পার্থে যেখানে ৩২ উইকেট পড়েছিল, সেখানে মেলবোর্নে পড়েছে ৩৬টি। তাই ক্রো হয়তো মাদুগালের দেওয়া পার্থের পিচের ‘খুব ভালো’ রেটিং থেকে ‘খুব’ শব্দটি বাদ দিয়ে মেলবোর্নের পিচকে কেবল ‘ভালো’ রেটিং দিতে পারেন। বিস্ময়ের শেষ নেই, তাই আমরা হয়তো অন্য কোনো রেটিংও দেখতে পারি।’
বলের সংখ্যার (৮৫২ বল) হিসাবে মেলবোর্ন টেস্টটি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম। এর চেয়েও ছোট ছিল পার্থে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট (৮৪৭ বল) এবং ১৯৩২ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি (৬৫৬ বল)।
ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং বেন স্টোকস দুজনেই বোলারদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার কারণে পিচের সমালোচনা করেছেন। সাবেক খেলোয়াড় এবং ধারাভাষ্যকাররাও পেসারদের জন্য পিচের এমন বাড়তি সুবিধা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সিরিজের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি, যা ৪ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হবে। এখন দেখার বিষয় কিউরেটর সেখানে কেমন পিচ তৈরি করেন। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে সিডনিতেই হয়েছিল পঞ্চম টেস্ট। সেই ম্যাচও তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়েছিল।
আরআই/টিএ