অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন ব্রেট লি। বল হাতে ত্রাস ছড়িয়ে প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিতেন তিনি। তার অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বড় সম্মান দিতে চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। অজি ক্রিকেটের ‘হল অফ ফেম’-এ যুক্ত হলেন ৪৯ বর্ষী সাবেক এই পেসার।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমের চেয়ারম্যান পিটার কিং বলেন, 'ব্রেট লি-র এই সম্মান পাওয়া যথার্থ। খেলার প্রতি তার ভালোবাসা, প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা তাকে আরও অনন্য করেছে। অবসরের পরেও ধারাভাষ্যকার হিসেবে লি বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন।'
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ব্রেট লির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তারা লিখেছে, ;জয়ী মানসিকতার প্রতীক, হাতে বল থাকলে ঝড়, আর সব ফরম্যাটেই প্রকৃত বিনোদনদাতা। ব্রেট লি এখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমের নতুন সদস্য।'
শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, বিশ্বের সর্বকালের সেরা পেস বোলারদের তালিকায় অন্যতম ব্রেট লি। ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতেও নিখুঁত বোলিং করতেন তিনি। পাকিস্তানি গতিতারকা শোয়েব আখতারের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬১.১ কিলোমিটার (ঘণ্টায়) গতির ডেলিভারি করেছেন তিনিই।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের হল অব ফেমে জায়গা পেয়ে গর্বিত লি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ওয়েবসাইটকে লি বলেন, ‘আমার কাছে ১৬০ কিমি/ঘণ্টায় বল করা, যেকোনো উইকেটের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই দল সবার আগে। তাই দল বিবেচনায় প্রথমে আসে ২০০৩ বিশ্বকাপ জয়, টানা ১৬টি টেস্ট জয়।’
১৯৯৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৬ টেস্ট, ২২১ ওয়ানডে ও ২৫ টি-২০ ম্যাচ খেলে মোট ৭১৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে টেস্টে ৩১০, ওয়ানডেতে ২২১ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০০৮ সালে তাঁকে ‘অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ সম্মানে সম্মানিত করে।
১৯৯৬ সাল থেকে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হল অব ফেমের রীতিতে লির আগে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে ৬০জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন। এরমধ্যে আছেন ডন ব্রাডম্যান, ডেনিস লিলি, স্টিভ ওয়াহ, শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, মার্ক ওয়াহ, মাইকেল ক্লার্ক, ম্যাথু হেডেন ও রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা।
আরআই/টিএ