স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শরিফ ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। রাষ্ট্রের স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোটের যে মনোভাব সেটি আমরা প্রতিষ্ঠিত রাখব। একই সঙ্গে ইনসাফের প্রশ্নে আমাদের আন-কম্প্রোমাইজিং অবস্থান থাকবে।


সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ শাসন দেখেছি, সেটির কারণে আমরা মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের মানবিক অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি। আমরা এটি থেকে মুক্তি এবং একই সঙ্গে আমাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে আমাদের যে সর্বজনীনতার যে লড়াই, সে লড়াই অব্যাহত থাকবে। এটি হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।’

এনসিপির নেতাদের পদত্যাগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, অনেক পার্টি এ ধরনের মতপার্থক্যের কারণে ভাঙন এবং গড়ার মধ্য দিয়ে যায়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে জুলাই-পরবর্তী সময়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা, সেটির দিকে আমরা এগিয়ে যাব।

আবার যখন কারো মনে হবে আবার যুক্ত হবে, তখন তারা যুক্ত হবে। সে জায়গা থেকে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। আমরা মনে করি, নেতিবাচক যে প্রভাব পড়বে, আমরা তা ইতিবাচক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।’

মনোনয়ন জমা দেওয়ায় সময় উপস্থিত ছিলেন দেবীদ্বার উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, দেবীদ্বার পৌর জামায়াতের আমির ফেরদৌস আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি দেবীদ্বার উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এ ছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্য, জোট নেতৃবৃন্দ ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন বাদশা Dec 29, 2025
img
আরশাদ ওয়ার্সিকে দেখে মারিয়ার মা-বাবা কী বলেছিলেন? Dec 29, 2025
img
মঙ্গলবার একদিনের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছেন আইজিপি Dec 29, 2025
img
অস্ত্রোপচারের পর কেমন আছেন সাজিদ, জানালেন ফারাহ Dec 29, 2025
img
ঢাকার বুকে ফিরে এলো হারিয়ে যাওয়া 'কনাই নদী' Dec 29, 2025
img
হাসনাত আব্দুল্লাহর জন্য আসন ছেড়ে কাঁদলেন জামায়াতের প্রার্থী Dec 29, 2025
img
রাতে ঢাকায় শীতের প্রকোপ বাড়বে Dec 29, 2025
img
‘তুমি শেখাবে আমাকে’? একটি কথায় বদলে গেল রাজেশ-ডিম্পলের সম্পর্কের সমীকরণ Dec 29, 2025
img
সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও ছেলে Dec 29, 2025
img
ইমাদ ওয়াসিম ও সানিয়ার বিচ্ছেদের কারণ 'তৃতীয় পক্ষ'? Dec 29, 2025
img
কোটিপতি জামায়াত আমির, আছে নগদ ৬০ লাখ টাকা-ডুপ্লেক্স বাড়ি Dec 29, 2025
দক্ষিণ আমেরিকা সফরে মায়ামি- পেরু, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ম্যাচ Dec 29, 2025
অডিশন ভিডিওতেই আলোচনায় কৃতি Dec 29, 2025
ঝলমলে পোশাকেই যত আলোচনা Dec 29, 2025
img
সিলেটের খুঁটি থেকে গাছের মগডালে ঝুলছে 'অদ্ভুত পোস্টার বয়'! Dec 29, 2025
img
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাঈদীর দুই ছেলে Dec 29, 2025
৯০ হাজার ভক্ত নিয়ে গান প্রকাশের পর অভিনয় ছাড়ার কারণ জানালেন বিজয় Dec 29, 2025
এবারের বাণিজ্য মেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার! Dec 29, 2025
নরওয়ে-সুইডেন-ফিনল্যান্ডে তুষারঝড় জোহান্নেসের তাণ্ডব, ৩ প্রাণহানি Dec 29, 2025
img
প্রয়াত জাকির বদলি কোচ নিয়োগ ঢাকা ক্যাপিটালসের Dec 29, 2025