দূরত্ব যেন থামাতে পারেনি শোকাহতদের। বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হেঁটেই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ তথা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় যাচ্ছেন মানুষ। আপসহীন নেত্রীর শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এভাবেই বহু মানুষকে জানাজা স্থলে যেতে দেখা যায়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার জানাজা ঘিরে ঢাকায় লাখো মানুষের সমাগমে যান চলাচল কিছুটা সীমিত। ছোট কিছু বাহন চললেও রয়েছে ধীর গতি। ফলে অনেকে বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে। এজন্য রাজধানীর কুড়িল, মহাখালী-বনানীর মাঝামাঝিতে থাকা প্রবেশপথ দিয়ে হেঁটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে যাচ্ছেন হাজারো মানুষ। সময়মতো পৌঁছাতে হেঁটেই রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি পৌঁছেছে। বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটের দিকে তার মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি ওই এলাকায় পৌঁছায়। বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে ছেলে তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে ফ্রিজার ভ্যানটি যাত্রা শুরু করে।
তার আগে সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করে নেওয়া হয় গুলশানে। শুরুতে নিজের দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ নেওয়ার কথ থাকলেও গাড়িটি তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের জানাজা ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীর শ্যামলী, ৬০ ফিট রোড ও তালতলাসহ আশপাশের সব পথ দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে নামে জনস্রোত। ফলে আগারগাঁও থেকে মিরপুরমুখী ডানের সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেবল মিরপুর ও মহাখালী-বনানীমুখী সড়কে চলাচল করছে যানবাহন। জননিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
এসএস/এসএন