হাঁটার অভ্যাস ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

বর্তমান সময়ে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস এখন আমাদের অতিপরিচিত সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, বিনা খরচে এবং অপেক্ষাকৃত সহজ উপায়ে এসব রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। পাবমেড জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিনের হাঁটার অভ্যাস ক্যান্সার, ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি হ্রাস করবে ।

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের আলোচনায় সাধারণত বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কিন্তু নতুন প্রকাশিত দু’টি গবেষণা বলছে- উক্ত সংখ্যার থেকে কম হাঁটলেও তা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

পাবমেড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আট হাজার হাঁটেন তাদের ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি দুই তৃতীয়াংশ কমে যায়। অন্যদিকে, প্রতিদিন ১২ হাজার কদম হাঁটলে দুরারোগ্য রোগ দু’টিতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমে যায় প্রায় নব্বই শতাংশ পর্যন্ত।

মার্চের প্রথম সপ্তায় প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণয় দেখা গেছে, ৯ থেকে ৪৬ বছর বয়সী যেসব ব্যক্তি প্রতিদিন ১০ হাজার কদমের বেশি হাঁটেন, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৪৩ শতাংশ এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৩১ শতাংশ হ্রাস পায়।

এছাড়াও গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার কদমের বেশি হাঁটার অভ্যাস স্থূলতার ঝুঁকি কমায় প্রায় ৬১ শতাংশ পর্যন্ত। ৯ বছরের বেশি বয়স যাদের তারা কমপক্ষে প্রতিদিন এক হাজার কদম হাঁটলেও মোটা হওয়ার ঝুঁকি ৯ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস হয়।

এ বিষয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ডেভিট ডাপ্রাটো বলেন, “শরীরচর্চা, বিশেষ করে হাঁটার উপকারিতা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে গভীর গবেষণা চলছে। প্রতিদিন দশ হাজার কদমের বেশি হাঁটতে বলার পেছনে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।”

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদেরকে কমপক্ষে চার বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং ডিজিটাল ডিভাইস দ্বারা তাদের প্রতিদিনের হাঁটার পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব Nov 03, 2025
img
ক্লাসিকোর দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াল বার্সা Nov 03, 2025
img
হলান্ডের জোড়া গোলে জয়ে ফিরল ম্যানসিটি Nov 03, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি Nov 03, 2025
img
বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছে: মির্জা ফখরুল Nov 03, 2025
img
সুন্দরবন থেকে সাত হরিণ শিকারি আটক Nov 03, 2025
img
মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ : ঝুঁকিপূর্ণ ধারা বহালে টিআইবির উদ্বেগ Nov 03, 2025
img
বিনিয়োগ সহজীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি Nov 03, 2025
img

মানবপাচারের মামলা

সাবেক মন্ত্রী ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ Nov 03, 2025
img
দ্য গ্রেট পিরামিডের পাশে বিশ্বের বৃহত্তম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর উদ্বোধন করল মিশর Nov 03, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারাল যুবক Nov 03, 2025
img

ডাকসুর বিবৃতি

তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বিএনপি Nov 03, 2025
img
বৃথা গেলো ভলভার্টের সেঞ্চুরি, আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ী ভারত Nov 03, 2025
img
কাস্টমস কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান বরখাস্ত Nov 03, 2025
img

টেবিল টেনিস

থাই কোচের বিদায়, ইরানি কোচ আনতে চায় বাংলাদেশ Nov 03, 2025
img
১১ দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন চলছে Nov 03, 2025
img
৪ দিনের পূর্বাভাসে লঘুচাপ নিয়ে নতুন তথ্য Nov 03, 2025
img
আরও ১০০ বছর রাজত্ব করো- শাহরুখকে ফারাহ Nov 02, 2025
img
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান Nov 02, 2025
img
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪ Nov 02, 2025