করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে, এই ভাইরাসটির কারণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগটির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনও কোনো কার্যকর টিকা নেই। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা একটি কার্যকর টিকা তৈরিতে কঠোর পরিশ্রম করছেন।
করোনাভাইরাসের টিকা বা ভ্যাকসিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই ভাইরাসটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, ফলে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এখনও সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন। ভ্যাকসিন বা টিকা মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এমনভাবে শক্তিশালী করে তোলে, যাতে বিশেষ কোনো রোগ বা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়।
টিকা তৈরির অগ্রগতি কতটা?
কখন আমরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবো?
ভ্যাকসিন তৈরিতে এখনও যা যা করতে হবে
যদিও একাধিক গবেষণা দল সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তবে এখনও আরও অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে। সেগুলো হলো-
কত লোককে টিকা দেয়ার দরকার পড়বে?
ভ্যাকসিনটি কতটা কার্যকর হতে চলেছে তা না জেনে একথা বলা শক্ত। তবে গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগটির সহজে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ মানুষের দেহে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা দরকার। ভ্যাকসিনটি যদি পুরোপুরি কাজ করে তবে বিশ্বজুড়ে কয়েক বিলিয়ন মানুষকে এটি দেয়া হতে পারে।
একটি টিকা কি সব বয়সের মানুষকেই রক্ষা করবে?
খুব সম্ভবত এটি বয়স্ক ব্যক্তিদের দেহে কম কাজ করবে। কারণ, বয়স্ক লোকদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা টিকাদানের ক্ষেত্রেও তেমন একটা সাড়া দেয় না। অতীতে দেখা গেছে ফ্লুয়ের টিকা বয়স্কদের শরীরে খুব একটা কাজ করে না।
কারা এই টিকা পেতে পারেন?
যদি কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হয়, তাহলে প্রথম দিকে এর সরবরাহ কম থাকবে। তাই প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ রোগীদের নিয়ে কাজ করছেন এমন স্বাস্থ্য কর্মীদের এই টিকা দেয়া হতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগটি সবচেয়ে মারাত্মক, তাই তাদের দেহে এই ভ্যাকসিন কার্যকর হলে তাদেরকেও অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়াও যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, বিশেষত পরিবারের সদস্যরা, তাদেরকে এই টিকা দেয়া হতে পারে। তথ্যসূত্র: বিবিসি
টাইমস/এনজে/জিএস