করোনাভাইরাস সবাইকে সংক্রমিত করবে!

দিন যত যাচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ততোই বাড়ছে। যদিও বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর হার আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে এবং সুস্থতার হারও বেড়েছে। তারপরও কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। এমনই পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দীর্ঘদিন এই পৃথিবীতে থাকতে পারে। তাদের ধারণা, কোভিড-১৯ সারা বিশ্বের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ গবেষণা ও নীতি কেন্দ্রের পরিচালক মাইকেল অস্টারহোম ইউএসএ টুডেকে বলেন, ‘এই ভয়ংকর ভাইরাসটি যতক্ষণ না সম্ভব সবাইকে সংক্রমিত করবে, ততক্ষণ এটি পৃথিবীতে টিকে থাকবে। পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ থেকে ৭০ ভাগকে সংক্রমিত না করা পর্যন্ত এই ভাইরাস কিছুতেই ক্ষান্ত হবে না।’

মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‌“আগামী শীত মৌসুমে আমাদের ওপর ভাইরাসটির আক্রমণ আরও বেশি কঠিন হয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে।”

তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘‘যখন আমি অন্যদের কাছে এ বিষয়টি বলেছি, তারা এটি একপ্রকার না বোঝার ভান করছে। তারা আমার কথার অর্থ কি বোঝে না?”

অস্টারহোম কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন, এই ভ্যাকসিন শুধু ভাইরাসকে সংক্রমণ বা বিকাশ ধীর করতে সহায়তা করবে। এমনকি যদি কোনো ভ্যাকসিন কাজ করে, তবে কোভিড-১৯-এর বিকাশের জন্য দায়ী সার্স কোভিড-২ থেকে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া যাবে কি না, তা এখনো অজানা।

উল্লেখ্য, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সময় প্রথম ধাপে নিউইয়র্ক নগর এবং শিকাগোতে ফ্লুর আক্রমণে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু বোস্টন, ডেট্রয়েট, মিনিয়াপোলিস ও ফিলাডেলফিয়ার মতো অন্যান্য শহরে প্রথম ধাপে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে সে স্প্যানিশ ফ্লুর আক্রমণ দেশব্যাপী মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।

করোনাভাইরাসের স্বভাব ঠিক ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর মতো মনে হচ্ছে বলে বর্তমানে বিশেজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রথম প্রেমের বিষয়টাই খুব মধুর এবং সুন্দর: কমলিকা ব্যানার্জি Nov 05, 2025
img
দায়িত্ব পাওয়ার ৩ ঘণ্টার পরই ‎পদত্যাগ করলেন ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার Nov 05, 2025
img
সর্বমিত্রের মাস্তানি আসলে শিবিরের মাস্তানি : জাহেদ উর রহমান Nov 05, 2025
img
সব অভিমান ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবো: বিএনপি প্রার্থী Nov 05, 2025
img
গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন এরশাদ উল্লাহ'র সহযোগী সরোয়ার বাবলা Nov 05, 2025
img
খুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরিদর্শনে জয়া আহসান ও ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত Nov 05, 2025
img
দেশজুড়ে এক মাসে ১৮ জেলায় কনসার্ট অ্যাশেজের Nov 05, 2025
img
সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই বাংলাদেশে খেলতে আসছে ভারত Nov 05, 2025
img
মামদানিকে শুভেচ্ছা জানালেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান Nov 05, 2025
img
প্রতিবাদী ও বুদ্ধিজীবী আলোচনা বিনোদনের আড়ালে: কৌশিক সেন Nov 05, 2025
img
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টেস্ট দলে জায়গা পেলেন পান্ত Nov 05, 2025
img
লামিনে ইয়ামাল রিয়ালে মাদ্রিদে খেলার অযোগ্য: ইভান জামোরানো Nov 05, 2025
img
সর্ব মিত্রকে ট্রায়ালে ফেলবেন না : জুমা Nov 05, 2025
img
জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসনের দাবি নারী নেত্রীদের Nov 05, 2025
img
জনসমর্থনে শীর্ষ ১০ এর ভিতর না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক রহমান Nov 05, 2025
img
বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ছেন কোচ হান্সি ফ্লিক! Nov 05, 2025
img
কিছুক্ষণ পরই আকাশে দেখা দেবে ‘সুপারমুন’ Nov 05, 2025
img
রিমান্ডে সেই বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত Nov 05, 2025
img
সার্ভার ত্রুটির কারণে নভেম্বরের এমপিও আবেদনের সময়সীমা বাড়াল মাউশি Nov 05, 2025
img
বরখাস্ত করা হলো পাকা কলা ঘুস নেওয়া সেই কর্মচারীকে Nov 05, 2025