পেঁয়াজ আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি রসনা উপাদান। তবে চুল পড়া কমাতে, চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এর ব্যবহার দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অবশ্য চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে বহু বছর ধরে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার চলে আসছে।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পেঁয়াজের রসের প্রধান উপাদান সালফার, যা সৌন্দর্যের খনিজ হিসেবে পরিচিত এবং এটি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেঁয়াজের রসে ভিটামিন-সি, ফোলেট, ভিটামিন বি-৬ এবং পটাসিয়ামের মতো মাইক্রো-পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই চুল পড়া রোধে ঘরোয়া সমাধান হিসেবে পেঁয়াজ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
পেঁয়াজের রস রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। চুলে ও মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করলে তা চুলের ফলিক্যালসে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। পেঁয়াজের রস চুলের অকাল পক্বতা রোধ করতেও কার্যকর বলে মনে করা হয়।
বাজারে পেঁয়াজের রস ব্যবহৃত হয় এমন অনেক প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে চুল পড়া রোধে ও চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সরাসরি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করাই সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।
তাজা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা সর্বোত্তম। তবে ফ্রিজে রেখে দুই তিন দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা উচিত নয়।
কীভাবে পেঁয়াজের রস তৈরি করবেন
পেঁয়াজ কেটে মিক্সারে রস তৈরি করে নিন। এবার পাতলা কাপড় দিয়ে ছেকে নিন। এরপর তা একটি পরিষ্কার শুকনো পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং চাইলে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন।
যেসব বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে
পেঁয়াজের রস দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক
এক চা চামচ মধুর সাথে দুই চা চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। চুল ধুয়ে নেয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে এই মাস্কটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এটি মাথার ত্বকে প্রদাহ হ্রাস করে, খুশকি বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ হ্রাস করে।
পেঁয়াজের রস ও ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল ও পেয়াজের রস সমান পরিমাণে মিশ্রিত করুন এবং গোসলের এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বকে লাগান। এটি একটি দুর্দান্ত সংমিশ্রণ, উভয় উপাদান চুলের পুনঃ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া দুটি উপাদানেই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/এনজে/জিএস