খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু আনারস আমাদের অনেকেরই প্রিয় একটি ফল। পাকা আনারসের ভেতরের অংশ হলুদ বর্ণের, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। এছাড়াও ফলটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং সহায়ক এনজাইমগুলিতে ভরপুর। আনারস সাধারণত কেটে লবণ মরিচ মাখিয়ে খাওয়া হয়, তবে আনারসের রসও অনেকে খেয়ে থাকেন এবং এটি তার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
আনারস ভিটামিন-সি এর একটি ভালো উৎস, যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আনারসে ফাইবার, ভিটামিন বি-৬, পটাসিয়াম, আয়রন, ফোলেট ছাড়াও বহু পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
আনারস হজমের জন্যও ভালো। আমাদের অনেকেই হজমের সমস্যায় ভুগে থাকি। বেশ কয়েকটি খাবার প্রাকৃতিকভাবে হজম বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে, এর মধ্যে আনারস অন্যতম।
হজমের সমস্যা দূর করতে আনারস
এই গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফলটিতে ব্রোমেলাইন নামক কার্যকর হজম এনজাইম রয়েছে। এই এনজাইম প্রোটিনের অণুগুলি ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে। প্রোটিনের অণুগুলি ভেঙ্গে ফেলার ফলে অন্ত্রের পক্ষে সেগুলিকে শুষে নেয়া সহজতর হয়।
ব্রোমেলাইনে শক্ত মাংসের প্রোটিনগুলি ভেঙে ফেলার ক্ষমতাও রয়েছে। এটি প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। আনারসে থাকা উচ্চ মাত্রার পানীয় এবং ফাইবার সামগ্রী কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও সহায়তা করতে পারে।
বায়োটেকনোলজি রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ব্রোমেলাইন প্রোটিন-হজমকারী এনজাইমগুলির অন্তর্ভুক্ত এবং আনারস খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ডায়রিয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতেও সহায়তা করবে।
আনারসের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
এটি রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ চাপকে হ্রাস করতে পারে।
আনারস ওজন কমাতেও সহায়তা করতে পারে। এতে ক্যালোরি কম থাকে এবং আনারস একইসাথে উচ্চমাত্রার ফাইবারযুক্ত। ফাইবার আমাদেরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখতে পারে, ফলে ক্যালোরি গ্রহণ করার প্রবণতা কমে যায়।
আনারসে ভিটামিন-সি, ফাইবার ও পটাসিয়াম থাকায় এটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ডের অন্যতম শর্ত। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
টাইমস/এনজে/জিএস