রান-বন্যার ম্যাচে মাশরাফির রংপুরের জয়

রংপুর রাইডার্স বোলারদের রীতিমতো কাঁদিয়ে সাব্বির রহমান-নিকোলাস পুরানরা গড়েছিলেন ১৯৪ রানের পাহাড়। জবাবে অ্যালেক্স হেলস-এবি ডি ভিলিয়ার্স-রাইলি রুশোরা ২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সাব্বির দুঃসময়ের বলয় ছিঁড়ে এ দিন ৫১ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ দিকে ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান। সিলেট ২০ ওভারে তোলে ১৯৪ রান। তখনও পর্যন্ত যা এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় রান। পরের ইনিংসেই সেই রান পেরিয়ে যায় রংপুর।

বিপিএলে অভিষেকের ম্যাচ রাঙাতে ভুল করেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৬৩ রানের মধ্যে ক্রিস গেইল (০) ও অ্যালেক্স হেলস (৩৩) বিদায় নিলে মাঠে নামেন তিনি। জাতীয় দলের সতীর্থ রাইলি রোসোর সঙ্গে ৬৭ রানের দারুণ জুটি গড়েন ডি ভিলিয়ার্স। ২১ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ৩৪ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

তার ৫ বল আগে তাসকিন আহমেদ ফেরান রংপুরের সর্বোচ্চ স্কোরার রোসোকে। ৩৫ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ছিল তার ৬১ রানের ইনিংস। এই জোড়া আঘাতের পরও আশা হারায়নি চ্যাম্পিয়নরা। মোহাম্মদ মিঠুন ও নাহিদুল ইসলামের ৩৭ রানের জুটি জয়ের পথে রেখেছিল তাদের। যদিও আবার তাসকিনের জোড়া আঘাতে ফিরে যান দুজনই। মিঠুন ১৪ ও নাহিদুল ১৯ রানে মাঠ ছাড়েন।

শেষ ২ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৪ রান। অধিনায়ক মাশরাফি ও ফরহাদ রেজা ক্রিজে থেকে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। শেষ ওভারে ৫ রান করতে হতো তাদের। ফরহাদ শেষ ওভারের তৃতীয় বলে জয়সূচক বাউন্ডারি হাঁকান। ৬ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। প্রথম বলেই চার মারা মাশরাফি টিকে ছিলেন ৫ রানে।

তাসকিন ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন রোসো।

রংপুর ৭ ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে গেছে। সমান খেলে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম দল সিলেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৯৪/৪ (লিটন ১১, সাব্বির ৮৫, আফিফ ১৯, ওয়ার্নার ১৯, পুরান ৪৭*, জাকের ৫*; নাজমুল ২-০-১৮-০, মাশরাফি ৪-০-৩১-২, শফিউল ৪-০-৪৩-১ ফরহাদ ৩-০-৩৫-০, নাহিদুল ২-০-১৬-০, গাজি ২-০-১৬-০, গেইল ৩-০-৩৪-০)।

রংপুর রাইডার্স: ১৯.৪ ওভারে ১৯৫/৬ (গেইল ০, হেলস ৩৩, রুশো ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৩৪, মিঠুন ১৪, নাহিদুল ১৯, মাশরাফি ৫*, ফরহাদ ১৮*; ইরফান ৪-০-৩৪-১, তাসকিন ৪-০-৪২-৪, লামিচানে ৪-০-২১-০, রানা ৪-০-৫৭-০, অলক ৩.৪-০-৩৪-১)।

 

টাইমস/এএস/এক্স

Share this news on: