আমাদের একটি পরিচিত সবুজ সবজি চাল কুমড়া। ভাজি কিংবা তরকারি হিসেবে সবজিটি খাওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত গ্রামে ঘরের চালে এই বিশেষ কুমড়ার লতানো গাছ দেখতে পাওয়া যায় বলে খুব সম্ভবত এর নাম চাল কুমড়া। তবে মাচা বেঁধেও অনেকে এর চাষ করে থাকেন।
স্বাদে কিছুটা পানসে হলেও পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকে চাল কুমড়া অন্য অনেক সবজির থেকেই এগিয়ে আছে।
আসুন চাল কুমড়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিই
চাল কুমড়াতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৭ শতাংশ এবং ক্যালোরি, ফ্যাট, প্রোটিন ও শর্করা খুব কম। তবে এটি ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি এবং বিভিন্ন পুষ্টির আধার।
প্রতি ১০০ গ্রাম চাল কুমড়ায় যেসব পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা হলো- ক্যালোরি: ১৩, প্রোটিন: ১ গ্রাম এরও কম, কার্বস (শর্করা): ৩ গ্রাম, ফাইবার: ৩ গ্রাম, ফ্যাট: ১ গ্রাম, ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ, রিবোফ্লাভিন: দৈনিক চাহিদার ৪ শতাংশ এবং দস্তা: দৈনিক চাহিদার ৬ শতাংশ।
এছাড়াও চাল কুমড়াতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, তামা ও ম্যাঙ্গানিজের পাশাপাশি বিভিন্ন বি ভিটামিনও রয়েছে।
চাল কুমড়ার যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
চাল কুমড়া প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য ঐতিহ্যবাহী চীনা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ফলটি প্রায়শই রেচক, মূত্রবর্ধক ও এফ্রোডিসিয়াক বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।
চাল কুমড়ায় ক্যালোরির পরিমাণ কম, উচ্চ ফাইবার ও উচ্চ পানীয় সামগ্রী থাকার ফলে এটি হজমে উন্নতি করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর দেহের ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, চাল কুমড়ার নির্যাস ইঁদুরের পেটের আলসারের উপস্থিতি রোধ করতে সহায়তা করতে সক্ষম এবং প্রদাহ হ্রাস করতে পারে। ধারণা করা হয়, এটি আলসার প্রতিরোধে ও আলসার আক্রান্তদের প্রদাহ হ্রাস করতে বেশ কার্যকর।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, চাল কুমড়া রক্তে সুগার, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী।
এছাড়াও চাল কুমড়ায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব রয়েছে। ফলে এর নির্যাস নির্দিষ্ট প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধেও কার্যকর। তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি
টাইমস/এনজে/জিএস