করোনা থাকবে, সবাইকে মানিয়ে চলতে হবে

বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শুরু হয়নি; কারণ প্রথম ধাক্কাই এখনও কাটেনি। এ পর্যন্ত এক কোটির বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় সবখানেই।

চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনামের মতো কিছু দেশ মহামারী নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন তাণ্ডব চলছে লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো আরও কিছু দেশ নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলো রয়েছে মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে।

ইউরোপ আছে এগুলোর মাঝামাঝি কোনো অবস্থানে। ফলে বিশ্ব খুব দ্রুত করোনা মুক্ত হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সামনে আরও ভয়াবহ দিন আসতে পারে। তাই মানুষকেই এর সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে দ্য ইকোনমিস্ট।

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বের ৮৪টি দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি জানিয়েছে, প্রতিটি নতুন রোগী শনাক্তের বিপরীতে আক্রান্ত ১২ জন অশনাক্তই থেকে যাচ্ছে। করোনায় প্রতি দুই মৃত্যুর বিপরীতে তৃতীয়টিকে অন্য রোগের ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি না আসলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২০ থেকে ৬০ কোটিতে। এ সময়ের মধ্যে মারা যেতে পারে ১৪ থেকে ৩৭ লাখ মানুষ। ওই সময়ও বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে।

করোনাভাইরাস কতটা ছড়াবে তা নির্ভর করে মূলত সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ওপর। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যায় তিনটি ধাপে- টেস্টিং, ট্রেসিং (শনাক্ত) ও আইসোলেশন। এগুলো যদি ব্যর্থ হয় তবে লকডাউন। এছাড়া জনস্বাস্থ্য সেবার খরচও থাকতে হবে সীমার মধ্যে।

ব্যাপক হারে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার এখনও অনেক দূরে, তবে ইতোমধ্যে প্রাথমিক থেরাপিগুলো পাওয়া যাচ্ছে। সুচিকিৎসার কারণেই ব্রিটেনে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রোগীর সংখ্যা মার্চের ১২ শতাংশ থেকে নেমে মে মাসে ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মহামারী পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে অর্থনীতিও। যদিও এখনও বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা বেশ নাজুক।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে : আসিফ নজরুল Jul 02, 2025
img
গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ Jul 02, 2025
img
আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আইন অনুমোদন করল ইরান Jul 02, 2025
img
'যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ইরান' Jul 02, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আসন সীমানা নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ Jul 02, 2025
img
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে সহকারী কমিশনারসহ নিহত অন্তত ৫, আহত ১১ Jul 02, 2025
img
‘জুলাই শহীদ’ স্বীকৃতি পাচ্ছেন এক রোহিঙ্গা যুবক Jul 02, 2025
img
চলতি মাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস Jul 02, 2025
img
পরের জন্মে প্রিয়াংকার স্বামী হতে চান শাহরুখ Jul 02, 2025
img
বড় দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি , দাবি তারেক রহমানের Jul 02, 2025
img
অনুমোদন ছাড়া আমদানিকৃত মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা Jul 02, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেয়ায় সহকারী কমিশনার চাকরিচ্যুত Jul 02, 2025
img
২৭১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এস আলমের সাইফুল-পিকে হালদারসহ আসামি ১৫ Jul 02, 2025
img
বিপিএলের নিলাম অক্টোবরের আগে হবে না : মাহবুব আনাম Jul 02, 2025
img
সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্বচ্ছতার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির Jul 02, 2025
img
দলীয় প্রতীক শাপলা চেয়ে ইসিতে আবেদন নাগরিক ঐক্যের Jul 02, 2025
img
২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭ Jul 02, 2025
img
শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ Jul 02, 2025
img
সব কিছুতে ঐকমত্য হয়ে যাওয়াটা বাস্তবসম্মত সম্ভব নয়: জোনায়েদ সাকি Jul 02, 2025
img
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন শান্ত Jul 02, 2025