সিনহা হত্যা: অভিযুক্ত ৩ সাক্ষী ফের চার দিনের রিমান্ড

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিন সাক্ষীকে দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ। এরা তিনজনই টেকনাফের বাহারছড়ার বাসিন্দা।

এর আগে প্রথম দফায় এই তিনজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। অন্যদিকে সোমবার অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্যেরও আদালত চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। যারা দোষী তাদের শাস্তি হোক আর নিরপরাধ মানুষ খালাস পাক।

তিনি বলেন, এ মামলাটিতে সিভিল আসামি আছে, আবার পুলিশও আছে। তারা সবাই অনেক তথ্য দিচ্ছেন। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে সবার উপস্থিতিতেই যাচাই করা দরকার। যেমন একজন একটা তথ্য দিল, এটা অন্যজনকে সামনাসামনি জিজ্ঞেস করা দরকার। এজন্যই মূলত সবার আবার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বিভিন্ন সময় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কক্সবাজারের আদালত।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন...

সিনহা হত্যা মামলা: ফের রিমান্ডে ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য

গাড়ি থেকে নেমে হাঁটু গেড়ে বসেন সিনহা, হাতে ছিল না কোনো অস্ত্র: র‍্যাব

সিনহা হত্যা: পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী গ্রেপ্তার

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

তারেক রহমানকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পরিমনি Dec 26, 2025
img
ভারত বিরোধীতার কারণে বাংলাদেশিদের কাছে হোটেল ভাড়া না দেওয়ার ঘোষণা শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের Dec 26, 2025
img
ট্রাম্পকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন Dec 26, 2025
img
জন্মদিনে শুভশ্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের মান-অভিমানের কি অবসান হলো? Dec 26, 2025
img
নির্বাচন আয়োজনের মধ্যেই সামরিক অভিযান জোরদার করল জান্তা সরকার Dec 26, 2025
img
বিয়ে করলেন ডাকসু নেত্রী সেই তন্বী, পাত্রের পরিচয় কী? Dec 26, 2025
img
‘ইক্কিস’ রিলিজে কাঁটা ‘ধুরন্ধর’, ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি নিয়ে নতুন উদ্যোগ পরিবার Dec 26, 2025
img
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ Dec 26, 2025
img
ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন চালিয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া: কিম জং উন Dec 26, 2025
img
অর্থনৈতিক ভাবে আমার নিজেকে বুদ্ধিমতী মনে হয়: কোয়েল মল্লিক Dec 26, 2025
img
আম্পায়ারকে গালিগালাজ, নির্বাসনের পথে সিএবি কর্তা Dec 26, 2025
img
জামায়াত-এনসিপির আসন সমঝোতা নিয়ে ৮ দলীয় জোটের বিবৃতি Dec 26, 2025
img
চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমে চোখে সর্ষেফুল দেখছে অস্ট্রেলিয়া Dec 26, 2025
img
আজ বাদ-জুমা সারাদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপির দোয়ার আয়োজন Dec 26, 2025
img
দিপু দাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন জাহ্নবী কাপুর Dec 26, 2025
img
মেঘনায় ২ লঞ্চের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের Dec 26, 2025
img
ঘন কুয়াশায় মাঝপদ্মায় আটকা ৩ ফেরি Dec 26, 2025
img
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 26, 2025
img
ভারতে বড়দিন উদযাপনে হামলা-ভাঙচুর, আটক ৪ Dec 26, 2025
img
ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর Dec 26, 2025