এবার তিনগুন বেশি ইলিশ যাচ্ছে ভারতে

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ-ভারত গমনাগমন কার্যত বন্ধ। সামনে আসছে পূজা। দুর্গাপূজাকে ঘিরে ভারতে ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। প্রতি বছরই পূজা উপলক্ষে ইলিশের বিশেষ চালান যায় ভারতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা। বরং এবার ইলিশ যাবে অন্যান্য বারের চেয়ে তিনগুন বেশি।

কলকাতার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রপ্তানি সংক্রান্ত অনুমতিপত্র হাতে পেয়েছে ভারত। অনুমতিপত্র পাওয়ার পর থেকেই ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে দ্রুত ইলিশ আমদানির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে দিল্লি।

জানা গেছে, এবছর দুর্গাপূজায় উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠাবে বাংলাদেশ। ২২ অক্টোবর দুর্গাপূজার সপ্তমী।

গত বছরও ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার ইলিশের উৎপাদন বেশি হওয়ায় মোট নয়টি সংস্থাকে সর্বনিম্ন ১৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ আনন্দবাজারকে বলেছেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।

কলকাতার হাওড়ার পাইকারি মাছ কারবারি সংগঠনের কর্তা সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, অনুমতি পাওয়ার পরে মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রোববার ভারতে ছুটি। ছুটি শেষ হলেই সব বাঁধা কাটিয়ে কলকাতায় আসবে ইলিশ।

সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ আরও বলেন, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই কলকাতায় ইলিশ ঢুকে। পরে এসব ইলিশ হাওড়া, শিলিগুড়ি যাবে। বাংলাদেশের ইলিশ না আসা পর্যন্ত আমাদের গুজরাট ও মায়ানমারের ইলিশের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু গুজরাট ও মায়ানমারের ইলিশের স্বাদ আর পদ্মার ইলিশের স্বাদ আকাশ-পাতাল ফারাক। বাংলাদেশের ইলিশের জন্য ভারতীয়রা বছর ধরে অপেক্ষায় থাকে। এই ইলিশের স্বাদই আলাদা। তাই দামও একটু বেশি।

তিনি জানান, কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ির বাজারে এক কেজি বা ১২০০ গ্রামের বড় ইলিশের দাম কমবেশি ১৩০০ টাকা। পদ্মার ইলিশের দামও এরকমই হবে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: