বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নতুন গবেষণায় জানা যাচ্ছে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ভাইরাস বিরোধী ওষুধ রেমডিসিভির এর তেমন কোনো প্রভাব নেই কিংবা থাকলেও তা খুব সামান্য। এই গবেষণায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রেমডিসিভির ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনসহ ৪টি ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা হয়।
তবে সম্প্রতি রেমডিসিভির ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ট ট্রাম্পের কোভিড-১৯ চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়েছে। ওষুধটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিলীড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গবেষণা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সলিডারিটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য সংস্থাটি রেমডিসিভির, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ইন্টারফেরন এবং লোপিনাভির-রিটোনাভির এর কার্যকরিতা পরীক্ষা করে। ৩০টি দেশের ৫০০টি হাসপাতালে ১১,২৬৬ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর উপর ওষুধগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয় এর কোনটিই মৃত্যুহার কমাতে কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসার সময় কমাতে সহায়তা করে না।
তবে এই মাসের শুরুতে রেমডিসিভির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের করা একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল- ওষুধটির ব্যবহার কোভিড-১৯ রোগীদের হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা গ্রহণের সময় কমাতে সহায়তা করে।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিলীড সাইন্স ইঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত “নতুন এসব তথ্য অংসলগ্ন প্রতীয়মান হয়। কারণ পিয়ার রিভিউ করা বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত একাধিক গবেষণার তথ্য চিকিৎসাক্ষেত্রে রেমডিসিভির এর কার্যকারিতার প্রমাণ করে।”
তবে যুক্তরাজ্যে পরিচালিত বিশাল এই ট্রায়ালের কর্ণধার প্রফেসর মার্টিন ল্যান্ড্রির মতে, এই ট্রায়ালের ফলাফল “গুরুত্বপূর্ণ এবং নিঁখুত”।
তিনি আরো বলেন, “বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ লক্ষ মানুষ কোভিড সংক্রমিত হচ্ছেন। আমাদের এমন সমাধান প্রয়োজন যা কার্যকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব।”
উল্লেখ্য, গত ১ মে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রেমডিসিভির এর জরুরি ব্যবহার অনুমোদন করা হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন দেশে ওষুধটি অনুমোদ করা হয়েছে এবং ব্যবহার করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
টাইমস/এনজে