করোনা চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ তৈরির দাবি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর ওষুধ তৈরির দাবি করেছে মার্কিন সংস্থা ‘ফিজার ইঙ্ক’। এর মধ্যদিয়ে ফিজার ও বায়োএনটেক-ই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান, যারা বৃহত্তর পরিসরে করোনার ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করতে চলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদন ও প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ‘ফিজার ইঙ্ক’ ও জার্মানির ওষুধ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান ‘বায়োএনটেক এসই’ যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধটি তৈরি করেছে। তবে ওষুধটির নাম বা বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

কোম্পানি দুটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওষুধটি ব্যবহারের পর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোগীর দেহে তৈরি হয়নি। চলতি মাসেই ১৬-৮৫ বছর বয়সী রোগীদের উপর জরুরি অবস্থায় ওষুধটি ব্যবহারে অনুমতি চেয়ে মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান দু’টি।

এ বিষয়ে ফিজারের চেয়ারম্যান অ্যালবার্ট বৌরলা বলেন, ‘আজকের দিনটি বিজ্ঞান এবং মানবতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমদের ওষুধ উন্নয়ন কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে চলেছি। এটি এমন একটি সময় সম্ভব হলো যখন সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না এবং অর্থনীতি ঝুঁকিতে রয়েছে।’

আগে থেকেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উৎপাদন শুরু করায় এ বছরের মধ্যে ২.৫ কোটি থেকে ৫ কোটি ডোজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০২১ সালে ওষুধটির ১৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ ট্রায়াল শেষে হলেই এ সংক্রান্ত সকল তথ্য-উপাত্ত পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফিজার। তার আগেই যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি ওষুধটির সরবরাহ নিশ্চিত করতে চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারেও চড়তে শুরু করেছে কোম্পানি দু’টির শেয়ারের দাম।

তথ্যসূত্র: আলজাজিরা


টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: