আমি বাইডেনের উপদেষ্টা নই, খবরটি ভুয়া : এম ওসমান সিদ্দিক

জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রশাসনে কে থাকছেন আর কে থাকছেন না এনিয়ে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো অপেক্ষায় আছে যে, ট্রাম্পের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসে কী না?

আর এই জল্পনা থেকেই সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে এক নতুন গুঞ্জন। আর এই গুঞ্জন যাকে নিয়ে, তিনি হলে ড. এম. ওসমান সিদ্দিক। দেশের অনেক রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এম. ওসমান সিদ্দিককে নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা ও অভিনন্দন আদান প্রদানের হিড়িক পড়ে যায়।

এম ওসমান সিদ্দিককে নিয়ে হঠাৎ এই মাতামাতির পেছনে ছিল একটি খবর। তা হলো- ‘যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. ওসমান সিদ্দিক।’

আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও গোপনে বা প্রকাশ্যে শুরু হয় নানা ধরণের জল্পনা-কল্পনা।

কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় সব গুজবের ডালপালা কেটে দিয়েছেন স্বয়ং এম. ওসমান সিদ্দিক।

ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত সকল আমেরিকানদের জন্য বাইডেন প্রশাসন যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসতে যাচ্ছে, তা ভেবে আমি উদ্দীপ্ত ও শিহরিত বোধ করছি। আমি এটা বলতে চাই, সম্প্রতি যে খবর রটেছে, যাতে বলা হয়েছে, আমাকে বাইডেন প্রশাসনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র অ্যাডভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে- বিষয়টি সঠিক নয়। আমি এখনো সাউথ এশিয়ানস ফর বাইডেন ক্যাম্পেইন গ্রুপের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্বে আছি।’

আসুন জেনে নিই কে এই ড. এম ওসমান সিদ্দিক

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের ছোট ভাই ড. এম ওসমান সিদ্দিক। তিনি একজন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

১৯৯৯ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তাকে ফিজি, টোঙ্গা, ট্যুবালু এবং নাউরু নামক দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ২০০০ সালে ফিজির অভ্যুত্থানের সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষা ও দেশটির পুনর্বাসনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন ড. ওসমান। তিনিই হচ্ছেন প্রথম আমেরিকান মুসলিম কূটনীতিক, যিনি অন্য দেশে কোনো মার্কিন মিশন প্রধানের ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ম্যাকলিন এলাকায় বসবাস করছেন তিনি।

১৯৯০ সালে ওসমান সিদ্দিক ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার শাহীন স্কুল, পুরান ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল ও পরবর্তিতে নটেরডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এম. ওসমান সিদ্দিক। পরে ১৯৭২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ওসমান সিদ্দিকের পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া গ্রামে। তাঁর বাবা শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ ওসমান গনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৬২ বলে সেঞ্চুরি, রাজকীয় ভঙ্গিতে ফিরলেন রোহিত Dec 24, 2025
img
নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর গুঞ্জন, মেলেনি সুনির্দিষ্ট তথ্য Dec 24, 2025
img
সম্ভাব্য জনদুর্ভোগের জন্য বিএনপির আগাম দুঃখ প্রকাশ Dec 24, 2025
img
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন রুমিন ফারহানা Dec 24, 2025
img
বগুড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Dec 24, 2025
img
দীপু চন্দ্র ও ওসমান হাদি হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে: প্রেস সচিব Dec 24, 2025
img
ঋণখেলাপির তালিকায় নাম থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না Dec 24, 2025
img
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ: বিবিএস Dec 24, 2025
img
রিকশায় করে এসে মনোনয়ন কিনলেন আমির হামজা Dec 24, 2025
img
বড় প্রজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অক্ষয় খান্না Dec 24, 2025
img
১১ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিলেন টেইলর সুইফট Dec 24, 2025
img
সিলেট বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভিড় না করার নির্দেশ বিএনপির Dec 24, 2025
img
অস্কারে যাওয়ার আগেই ধাক্কার কবলে ‘হোমবাউন্ড’ Dec 24, 2025
img
ডেইলি স্টারে হামলায় লুট হওয়া কম্পিউটারসহ যুবক গ্রেপ্তার Dec 24, 2025
img
নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফিরছেন সামান্থা! Dec 24, 2025
img
বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন নুর-রাশেদ, কোন আসনে কে? Dec 24, 2025
img
ঢাকায় বড়দিন উপলক্ষ্যে আতশবাজি ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ Dec 24, 2025
img
ঐতিহাসিক অভ্যর্থনা আগামীকাল : দুদু Dec 24, 2025
img
টেলিকমিউনিকেশন অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে : প্রেস সচিব Dec 24, 2025
img
দীপিকার সেই বিতর্কে মতামত জানালেন কিয়ারা Dec 24, 2025