মানবপাচারের মামলায় অমির ৯ সহযোগী গ্রেপ্তার

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমির ৯ সহযোগীকে মানবপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

এরা হলেন- অমির ঘনিষ্ঠ জসিম উদ্দিন (৩৬), অমির গাড়িচালক সালাউদ্দিন (৩৫), অমির শ্যালক রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৪), মো. মুসা (২৬), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), মো. নাজমুল (২৫), মো. আলম (৩৫) ও শাহজাহান সরকার (৪৩)। চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ১৪ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তুহিন সিদ্দিকী অমি।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

এর আগে শনিবার রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. তুহিন সিদ্দিক অমির চারটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ব্যাংক কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা শত শত লোকজনকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে। এ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। এছাড়া আরও অনেক নিরীহ সরল লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে তারা কাজ পাচ্ছে না। ফলে ভিকটিমরা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সিআইডির তদন্ত চলমান। আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আদালতে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।

 

টাইমস/এসজে

Share this news on: