৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা, নজরদারিতে ৩০-৩২ টি

করোনাকালে ঘরবন্দি জীবনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা দেশের ই-কমার্স খাত হঠাৎ করেই আস্থার সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে খুব অল্প সময়ে পরিচিতি পাওয়া ইভ্যালিসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করার ঘটনাও ঘটেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।


দেশের ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরমধ্যে ব্যবসার আড়ালে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ, অনুমোদন ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা ও পণ্য না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমন ৩০-৩২টি সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে সংস্থাটি।


সাশ্রয়ী দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও ইলেট্রনিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সরকারি অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’র হেড অব অপারেশন মো. নজরুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের ছয় কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।


সিআইডি জানায়, বিজ্ঞাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার শর্তে টাকা পরিশোধ করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময়ে পণ্য দেয়নি ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’।

অন্যদিকে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। সিআইডি জানায়, আসামিরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করতেন।

গ্রেফতাররা হলেন মো. আব্দুস সাত্তার (৫২), মো. আলী হোসেন (৪০), মো. শাহাদাত হোসেন (৫৫), মো. মোস্তফা (৬২) ও মো. জামাল হোসেন (৫০)।

Share this news on: