নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনায় বসেছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা।
দলটির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর কবীর নানকের নেতৃত্বে আলোচনায় বসেছেন তারা। আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
তাদের সাথে আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী। নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন চান আরও তিন নেতা। আর এরই মধ্যে আইভীর কয়েকটি নির্বাচনি সভায় অনুপস্থিত ছিলো আওয়ামী লীগের একাংশ। তাই নির্বাচন সামনে রেখেই কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এই আলোচনা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ই জানুয়ারি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চারজন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
তারা হলেন- বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা।
তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এবার ২৯ নভেম্বর থেকে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। তবে এবার আর তৃণমূল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম চাওয়া হয়নি। দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সরাসরি বর্তমান মেয়র আইভীকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে এখনো শামীম ওসমানের প্রভাব বেশি। কিন্তু মেয়র পদে আইভীই দলের ভাবনায় ছিল। তৃণমূল থেকে নাম চাওয়া হলে এই নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে, এ কারণেই এবার নাম চাওয়া হয়নি।
দলীয় অন্য নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে দলের বিভিন্ন কমিটিতে শামীম ওসমানের প্রভাব বেশি হলেও আইভি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করছে। এ জন্যই দল আইভীকে নির্দ্বিধায় বেছে নিয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রিয়তার দিক থেকেও আইভী সবার চেয়ে এগিয়ে।