ইফতার বৈষম্য ...কেন ?

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় রোজাদাররা ইফতার করেন। এই ইফতার ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছেই সমান জনপ্রিয়। যিনি রোজা রেখেছেন, আর যিনি রোজা রাখেননি, এমনকি ভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছেও আগ্রহের একটি বিষয় হচ্ছে ইফতার। ইফতার রোজাদারের কাছে একটি ইবাদতও। কিন্তু ইফতারেও আছে নানা বৈষম্য। ইফতার পার্টি নাম দিয়ে চলে রাজনীতি ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যেখানে ইফতার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে। সেখানে ইফতারের খাবারে চলে নানা অপচয় ও অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা। অথচ অসংখ্য মানুষ সামান্য ইফতারে ভালো খেতে পারে না।  

ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বলেন, ইফতার শুধু ক্ষুধা নিবারণের জন্য করা হয় না। এটা একটা ইবাদতও। এ সময়ের দোয়া আল্লাহর দরবারে মঞ্জুর করা হয় বলেও হাদিসে বলা হয়েছে। সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ইফতার করতে তাগাদা দেওয়া হয়। বিলম্বে ইফতারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অন্যজনকে ইফতার করাতে উৎসাহিত করা হয়। কোনো রোজাদারকে ইফতার যিনি করাবেন তিনি রোজাদারের সমান সওয়াব পাবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির একটি কারণ হবে। আল্লাহর রাসুল (সা:) এর সেই উপদেশ থেকেই অন্যজনকে ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে ইফতার খাওয়ানোর প্রচলন শুরু হয় দেশে দেশে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই ইফতার অনুষ্ঠানকেও নানা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে খাবারের অপচয় এখন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে আমাদের সমাজে। অথচ কোনো অপচয়ই ইসলাম সমর্থন করে না। অনেকে মনে করেন রোজার মাসের খাবার দাবারের হিসাব দিতে হবে না আল্লাহর কাছে। যা ঠিক নয়। অথচ মাসটাই হচ্ছে সংযমের মাস। নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মাস। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত খাবারের কারণে ইবাদত বন্দেগিতেও বিঘ্ন ঘটে। তাছাড়া অসংখ্য মানুষ ভালো ইফতার করতে পারে না। মসজিদে মসজিদে ইফতারের আয়োজন করা হয়। একটি ছোট মসজিদেও শত শত মানুষ ইফতার করেন। বহু গরীব মানুষ না খেয়ে কিংবা সামান্য খেয়ে রোজা রাখেন। ভাত দিয়ে ইফতার করেন। ফলমুল কিংবা নানা মুখরোচক খাবার তাদের ভাগ্যে জোটে না।

ইফতার বৈষম্য ও ইফতারে অপচয় নিয়ে টাইমস্ ইনভেস্টিগেশন পাঁচ তারকা হোটেল থেকে প্রত্যন্ত এলাকার একজন সাধারণ গরীব মানুষ কিভাবে ইফতার করেন সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে সরজমিন। পুরো প্রতিবেদন দেখুন আমাদের ভিডিও প্রতিবেদনে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img

লা লিগা

রাফিনিয়ার জোড়া গোলে ওসাসুনাকে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা Dec 14, 2025
ওমান উপসাগরে ট্যাংকার জব্দ ইরানের, বাংলাদেশিসহ আটক ১৮ Dec 14, 2025
খরচ বাঁচাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বিপদ ডেকে আনল শীর্ষ এয়ারলাইন ইন্ডিগো Dec 14, 2025
'বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনে ঢাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে' Dec 14, 2025
রিজভীর বক্তব্যে জামায়াতের প্রতিবাদ, ডিএমপির সতর্কবার্তা Dec 14, 2025
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে ষড়যন্ত্র থামানো যাবে: তারেক রহমান Dec 14, 2025
৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দিলে পুলিশ রাখার দরকার কি? Dec 14, 2025
ডেভিল হান্ট ফেইজ ২ চালু হচ্ছে- হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার Dec 14, 2025
img
আজ থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হবে সোনা Dec 14, 2025
img
বাবা হওয়ার দিনে বিষাদের গল্প শোনালেন যুবদলের নয়ন Dec 14, 2025
img
হাদির ঘটনায় ফয়সাল করিমের সহযোগী মোটরসাইকেল চালকের পরিচয় শনাক্ত Dec 14, 2025
img
ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেও মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি : রাহাত আরা বেগম Dec 14, 2025
img
সরকার চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুর্বৃত্তদের ধরতে পারে: রুমিন ফারহানা Dec 14, 2025
জয়া-রুনাকে নিয়ে চুমকির বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেটপাড়ায় Dec 14, 2025
দুই বছর অপেক্ষার পর ধামাকা এন্ট্রি দিয়ে ফিরলেন ফারিয়া Dec 14, 2025
সমুদ্রসৈকতে মিমের আবেদনময়ী লুক নেটমহলে তোলপাড় Dec 14, 2025
মেসির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি Dec 14, 2025
img
‘প্রতি সপ্তাহে কোরিয়া যাই’- ফের আলোচনায় তান্যা মিত্তল Dec 14, 2025
img
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা : প্রধান উপদেষ্টা Dec 14, 2025
img
হানিমুন শেষে উচ্ছ্বসিত সামান্থা, স্বামীর সঙ্গে খুনসুটির মুহূর্ত ভাইরাল Dec 14, 2025