৩২৪ কলেজ : সরকারি না বেসরকারি

প্রায় ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২৪টি কলেজ জাতীয়করণের ঘোষনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর এই তিন শতাধিক কলেজের জাতীয়করণের সবরকম আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষ করা হয় তখনই। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর অতিবাহিত হলেও জাতীয়করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। ফলে হাজার হাজার ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারির বিড়ম্বনার শেষ নেই। কম খরচে পড়ার আশায় সরকারি কলেজ মনে অনেক গরীব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে এখন আছেন বিপাকে।

ঢাকার দোহারের মুকসুদপুর পদ্মা সরকারি কলেজের ছাত্র সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ও কাগজে কলমে ছিল সরকারি কলেজ। সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে সার্চ দিলে এই কলেজের নাম আসে। কলেজের সাইনবোর্ডেও লেখা আছে সরকারি কলেজ। এসব দেখেই এই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ভেবেছিলাম সরকারি কলেজে ভর্তি হলে খরচ কম হবে। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর দেখি বাস্তবে এটা সরকারি কলেজ না। সরকারি কলেজের তুলনায় এখানে বেতন অনেক বেশি।

একই কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারিকরণ প্রক্রিয়াটা কতোদিন সময় লাগবে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এজন্য আমরা হতাশায় ভুগছে সরকারিকরণের প্রকিয়ায় আটকে থাকা কলেজগুলোর শিক্ষক কর্মচারিরা। চাপা ক্ষোভ আছে সবার মধ্যে।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারিরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার এতোদিন পরও কলেজগুলো সরকারিকরণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় নানামুখি সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষার্থীসহ সকলেই। ইতোমধ্যে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে অবসরে যেতে হয়েছে অনেককে। আবার এসব শুন্য পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়াও যাচ্ছেনা। শিক্ষক-কর্মচারিরা সরকারি নিয়মে পাচ্ছেননা বেতন-ভাতা। সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা সেটাও তারা পাচ্ছেননা।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর এই মহতি উদ্যোগ যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো জাতি। যার দায়ভার পড়বে সরকারের ওপর। তাই যতো দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৩২৪টি কলেজের সরকারিকরণ বাস্তবায়ন করা হবে, ততো দ্রুত দেশ ও জাতির মঙ্গল হবে।

প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে। 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মা হারালেন দক্ষিণী সুপারস্টার মোহনলাল Dec 31, 2025
img
৪ গোল খেয়ে মেজাজ হারালেন মার্তিনেজ Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি Dec 31, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা শফিকের জানাজা সম্পন্ন Dec 31, 2025
img
মোদির ব্যক্তিগত চিঠি তারেক রহমানের কাছে পৌঁছে দিয়েছি : জয়শঙ্কর Dec 31, 2025
img
সারজিস আলমের ৩৩ লাখ টাকার সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি নেই Dec 31, 2025
img
পুরো ঢাকাই পরিণত হয় খালেদা জিয়ার জানাজার মাঠে Dec 31, 2025
img
শীর্ষস্থানে আর্সেনাল, ইউনাইটেডের হোঁচট Dec 31, 2025
img
সিলেট স্টেডিয়ামে খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত Dec 31, 2025
img
দৃষ্টিসীমা পেরিয়ে শুধু জনস্রোত, সবার চোখেই জল Dec 31, 2025
img
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল আফগানিস্তান Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুলে নিলেন আজহারী Dec 31, 2025
img
জেলে যাওয়ার আগে বেবী নাজনীনকে কী বলেছিলেন বেগম জিয়া? Dec 31, 2025
img
দিল্লিতে বসেই ভারতের এক প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর জবাব দিয়েছিলেন বেগম জিয়া! Dec 31, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই কাণ্ডে বিপাকে ভারতী সিং Dec 31, 2025
img
এফডিসিকে নিস্তেজ মনে হয়, দেখতে ভালো লাগে না: ডলি জহুর Dec 31, 2025
img
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক, নেই কোনো বাড়তি চাপ Dec 31, 2025
img
হাসনাত আব্দুল্লাহর বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই, সম্পদ রয়েছে ৫০ লাখ টাকার Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়া বলতেন বিদেশে বন্ধু আছে, প্রভু নেই: নজরুল ইসলাম খান Dec 31, 2025
img
বিপিএলে ভেন্যু কমছে! Dec 31, 2025