মহাসড়কে ইজিবাইক, বাড়ছে দুর্ঘটনা

র্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশের মহাসড়কগুলোতে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, নসিমন ও করিমনসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের চাঁদা দিয়ে এসব যানবাহন চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আইন-কানুন ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কগুলোতে এসব যানবাহন চলে বেপরোয়া গতিতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় উল্টো পথে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহনগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
 
স্থানীয় প্রভাবশালী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চাঁদা দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালানোর কথা জানালেন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ইজিবাইক চালক সেলিম। তিনি বলেন, চাঁদা না দিলে কী গাড়ি চলে। প্রতিদিন প্রতি অটো ও ইজিবাইক চালক থেকে ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই এসব টাকা নিচ্ছেন। ইজিবাইক চালক শাহ আলম বলেন, আমরা সকালে গাড়ি নিয়া বের হলেই স্টেশন রোড দিতে হয় ২০ টাকা। আবার স্টেশন রোড থেকে কালীগঞ্জ আসলে দিতে হয় ২০ টাকা। অন্যান্য রোডেও অনেক সময় ৫ থেকে ১০ টাকা চাঁদা দিতে হয় নানা কারনে। শাহ আলম আরও বলেন, চাঁদা না দিলে ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। সিট নিয়া যায়। মাঝে মাঝে গাড়ি আটকিয়ে রাখা হয় দুই তিন ঘন্টা। তারপর টাকা দিয়া ছাড়াইতে হয়। এভাবেই রোডে এসব যানবাহন চালাতে হয়।
 
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাস চালক মোর্শেদ বলেন, টঙ্গী থেকে ঘোড়াশাল পর্যন্ত পিপড়াঁর মতো অটো চলতে দেখা যায়। ওরা কোনও কিছুই বুঝে না। একটা যাত্রী সিগনাল দিছে। হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়। ডানে বামে কোনও খেয়াল নাই। রাস্তা সম্পর্কে এদের কোনও ধারনাই নাই। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।
 
ইজিবাইক চালক মিজানুর রহমান বলেন, ইজিবাইকগুলোর কোনও লাইসেন্স নাই। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে ড্রাইভারকে ধরা যায় না। যাত্রী সব দিক দিয়ে অনিরাপদ। ইজিবাইকগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে নিয়মের মধ্যে চলাচলের সুযোগ দিলে ভালো হয়। আরেক ইজিবাইক চালক রবিউল বলেন, চালক ও বাইক। কোনটারই লাইসেন্স নেই। চালকদের লাইসেন্স দিলে ভালো হয়। তিনি বলেন, আমাদের গাড়ির লাইসেন্স আছে, অনুমোদন আছে। গাড়ির কাগজে লেখা আছে সরকার অনুমোদিত। কিন্তু আমাদের লাইসেন্স নাই। ইজিবাইক থেকে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান স্বপন ও রমজান। স্বপন বলেন, প্রতিদিন ৫০০ টাকা বেতন পাই। ১০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। ৪০০ টাকা নিয়ে ডাল ভাত খাই। আমরা যানজট নিরসনে কাজ করে টাকা ২০ টাকা করে নেই। এটা চাঁদা নয়। থানা গেটের সামনে রনি ও জাপানী লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে।
 
মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচল নিয়ে টাইমস ইনভেস্টিগেশনের পুরো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে।
 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি শুধু চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে : হাসনাত আবদুল্লাহ Dec 22, 2024
img
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন Dec 21, 2024
img
সাকিব ও তামিমের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি Dec 21, 2024
img
সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন-জয়া আহসান Dec 21, 2024
img
ডেঙ্গু আক্রান্ত লাখ ছাড়াল, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু Dec 21, 2024
img
লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা : ডিএমপি কমিশনার Dec 21, 2024
img
চন্দনাইশের বিভিন্ন স্কুলে সালমা আদিল ফাউন্ডেশনের বৃত্তি Dec 21, 2024
img
রাখাইনে সামরিক সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি Dec 21, 2024
img
সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন ২ দিনের রিমান্ডে Dec 21, 2024
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ Dec 21, 2024