কম বয়সেই হতে পারে ডায়াবিটিস, জেনে নিন কী কী লক্ষণ

চল্লিশ পেরুলেই ডায়াবিটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু সমীক্ষাতে দেখা গেছে তরুণদেরও ডায়াবিটিস হতে পারে। চল্লিশের নিচে ডায়াবিটিসের সমস্যা সারা বিশ্বেই বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ২০ বা ৩০ বছর বয়সে যাদের ডায়াবিটিস ধরা পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে জটিলতা অনেক বেশি।৫০ বা ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে ডায়াবিটিসজনিত জটিলতা কম। ব্রিটেনের ডায়াবিটিস সংক্রান্ত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ব্রিটেনে ১ লাখ ২০ হাজার তরুণ তরুণী ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন। ২০২০ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারে।

অল্প বয়সে ডায়াবিটিসের পিছনে মূল কারণ হল অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, ওবেসিটি আর বেপরোয়া জীবনযাপন।

সাধারণত কম বয়সে ডায়াবিটিস হতে পারে এমন ধারণা অনেকেরই থাকে না। ফলে রোগ জটিল আকার নিলে চিকিৎসা শুরু হয়। ততদিনে গুরুতর ক্ষতিও হয়ে যায়। ৪০ বছর বয়সের আগের ডায়াবিটিস সাধারণত টাইপ-২ ডায়াবিটিস হয়। অতিরিক্ত তেষ্টা অনুভব করা, বারবার প্রস্রাব, ক্লান্তবোধ করা, দৃষ্টির সমস্যা এই রোগের প্রধান লক্ষণ।

ভারতের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের ডায়াবেটোলজিস্ট ও মেটাবলিক বিশেষজ্ঞ ডা. আলতামাশ শেখ জানালেন পরিত্রাণের কয়েকটি উপায়।

শরীরচর্চা: রোজ শরীরচর্চা বা ব্যায়াম কমিয়ে দিতে পারে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা। সারাদিন বসে বসে কাজ করার ফলে চলাফেরা কম হয়। ব্যায়ামের বদলে চলাফেরার মাধ্যমে করতে হয় এমন কাজ করলে কমতে পারে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা।

ওজন কমানো: ওবেসিটি বা অত্যাধিক ওজন ডায়াবিটিসের মূল কারণ। পাঁচ শতাংশ ওজন কমালে মিলতে পারে সুফল। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চললেই কমতে পারে ওজন।

ধূমপান ত্যাগ: ডায়াবিটিসের আশঙ্কা এড়াতে হলে ধূমপান ত্যাগ করা অবশ্যই দরকার।

স্ট্রেস কমানো: অতিরিক্ত স্ট্রেস ডায়াবিটিসের কারণ। গান শোনা, নাচ করা বা নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে কমানো যায় স্ট্রেস।

পর্যাপ্ত ঘুম: নিয়ম করে সাত থেকে আট ঘন্টা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোলে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা এড়ানো যেতে পারে।

Share this news on:

সর্বশেষ