সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় ইইউ, রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ওবায়দুল কাদের

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাক্ষাতে আগামী নির্বাচন, শাসক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আস্থা তৈরিতে কতটা এগিয়েছে- এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) চায়, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন। আমরাও চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটু সুষ্ঠু নির্বাচন।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংলাপ চায় না বিএনপি। তারা চায় আগুন সন্ত্রাস। ২০১৪ সালের মতো আবারও আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংলাপ চায় না, ২০১৪ সালের মতো আবারও আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না,কারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারে, তথ্য পেয়েছে সরকার। আমরা সতর্ক আছি।’

তিনি বলেন, ‘যে দল রাষ্ট্রপতির আহ্বান উপেক্ষা করে, সংলাপে তাদের আগ্রহ নেই। আসলে তারা মনের দিক থেকে নির্বাচনে যেতে ইচ্ছুক না। কারণ তারা জানে শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। সেজন্য বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে বিশৃঙ্খলা করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে।’

‘বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে তা কোনোদিনও সম্ভব না’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। দেশের সংবিধান আছে সেই অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, সেসব বিষয়ের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ফোকাসটা হচ্ছে নেক্সট ইলেকশন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে রুলিং পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগ কনফিডেন্স বিল্ড আপ করতে কতটা অগ্রসর হয়েছে, ইলেকশন কেমন হবে, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমাদের দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে- এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে, সুষ্ঠু হবে, অবাধ হবে। ইলেকশন কমিশন স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা কারো নির্দেশনা শুনবনা, নির্বাচন নিয়ে, আমাদের নির্দেশনা আমাদের সংবিধান।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের সঙ্গে দেখা করে চুপিচুপি গোপনে। আমরা কোনো গোপনীয় আলাপ করি না। আমরা দেখা করতে এসেছি সবাই জানে। রাতে চুপিচুপি দেখা করতে আসিনি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আমরা বলেছি আমরা সংবিধান ফলো করব। গণতন্ত্রের বিকাশের প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত- এটা আমরা দাবি করি না। তবে আমাদের নির্বাচনের জন্য অনেক সংশোধন হয়েছে।’

‘আমরা ভালো একটা ইলেকশান চাই, ত্রুটিমুক্ত ইলেকশন চাই। সে লক্ষ্যে যা যা করণীয় আমরা তা করব’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে খুব ফ্রুটফুল, মিনিংফুল আলোচনা হয়েছে। ইইউ চায় একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।’

Share this news on: