মুস্তাফিজের ওভারটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে: সাকিব

দিনের শুরুটে টস ভাগ্য পক্ষে যায়নি বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য স্বস্তির শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দুজনে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৫৫ রান। এরপর লিটন ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে আরও ৮৪।

অবশ্য শেষদিকে ইংলিশ বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। মিরপুরের উইকেটে এমন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ফিল সল্টকে হারালেও ডেভিড মালান ও জস বাটলারের ব্যাটে বেশ ভালোভাবেই জবাব দিচ্ছিল ইংলিশরা।

১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের নামের পাশে তখন ১০০ রান। এমন অবস্থায় ম্যাচ বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে বেড়িয়ে গেছে মনে হলেও ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই বাটলারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। পরের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউট মালান। আর তাতেই ছন্দ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও মনে করেন ম্যাচের মোড় বদলে গেছে এখানেই।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'ওই (১৪তম) ওভারে দুই সেট ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ পুরোপুরি বদলে গেছে। সেখান থেকে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই এবং তাদেরকে (ইংল্যান্ড) চাপে রাখতে থাকি। আমি মনে করি, মোস্তাফিজ চমৎকার ছিল আজকে। চার ওভারে সে মাত্র ১৪ রান দিয়েছে। অবিশ্বাস্য ভূমিকা রেখেছে সে এই দলের জন্য।'

সিরিজ জুড়েই দারুণ ফিল্ডিং করে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এই সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এটাকেই ধরছেন সাকিব। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা এই টি-টোয়েন্টি ভালো সিরিজে খেলেছি। বিশেষ করে, আমরা অত্যন্ত ভালো ফিল্ডিং করেছি এই তিন ম্যাচে। এটাই হলো (এই সিরিজের) সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।'

আগামী বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসছে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের আসর। সাকিব জানিয়েছেন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেই আসন্ন এই বিশ্ব আসরের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন টাইগার অধিনায়ক।

সাকিব বলেছেন, 'সব বোলারই ভালো বল করেছে। তারা সব সময়ই ভালো করেছে। ব্যাটাররাও তাদের ভূমিকা রেখেছে। আগামী বছরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সব মিলিয়ে ভালো শুরু হয়েছে। এখান থেকে আমরা ভালমতো এগিয়ে যেতে পারি।'

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সত্যকাম থেকে শোলে, ধর্মেন্দ্রর সুপারহিট ১০ সিনেমা Nov 24, 2025
img
মধ্যরাতে বাড়িতে পুলিশ, আতঙ্কে প্রাণ গেল আসামির Nov 24, 2025
img
বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ১ লাখ টন চাল কিনতে চায় পাকিস্তান Nov 24, 2025
img
বিএনপি বিশ্বাস করে নারী এগোলে দেশ এগোবে : সেলিমা রহমান Nov 24, 2025
img
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন ১০৩ চিকিৎসক Nov 24, 2025
img
থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে দূতাবাসের নতুন নির্দেশনা Nov 24, 2025
img
অবিলম্বে বার কাউন্সিলের নির্বাচন দাবি এনসিপির আইনজীবীদের Nov 24, 2025
img
চোখের জলে ধর্মেন্দ্রকে বিদায় দিল বলিউড Nov 24, 2025
img
চলে গেলেন কিংবদন্তি জার্মান অভিনেতা উডো কির Nov 24, 2025
পনেরো দিন বন্ধ পেয়েও কেন হল ছাড়েনি ঢাবি শিক্ষার্থী? Nov 24, 2025
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Nov 24, 2025
img
রুক্মিণীর জন্য পাত্র খুঁজে কলকাতা জুড়ে পোস্টার Nov 24, 2025
img
তখন তিনি সুপারস্টার, আর আমার বেতন ছিল মাত্র ১৭৫ টাকা : জাভেদ আখতার Nov 24, 2025
img
যখনই ভোট আসে তখনই ধানের শীষ জিতে : এ্যানি Nov 24, 2025
img

মেয়েদের কাবাডি বিশ্বআসর

চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে কাবাডি বিশ্বকাপে ভারতের বড় জয় Nov 24, 2025
img
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১০৩ চিকিৎসককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি Nov 24, 2025
img
‘হাস্যকর’ বলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান ভেনিজুয়েলার Nov 24, 2025
img
জাতীয় দলে ফিরে আসার সুযোগ এখনও রয়েছে সাবিনা-কৃষ্ণাদের Nov 24, 2025
img
এনসিপির আরও এক নেতার পদত্যাগ Nov 24, 2025
img
কোন সিনেমার মাধ্যমে সাফল্যের দেখা পান ধর্মেন্দ্র Nov 24, 2025