হজ যাত্রীদের প্লেন ভাড়া কমছে না: বিমানের এমডি

চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুকদের প্লেনের ভাড়া কমবে না বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম। তিনি বলেন, হজ যাত্রীদের জন্য আমরা সর্বনিম্ন প্লেন ভাড়া দিয়েছি, এরপর আর কমানো সম্ভব নয়।

রোববার (১৯ মার্চ) বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের সময় তিনি এ কথা বলেন।

বিমানের এমডি বলেন, বিমানভাড়া নির্ধারণ হয়ে গেছে হজ প্যাকেজের সঙ্গে। এ প্যাকের একটা অংশ বিমানের ভাড়া। প্যাকেজটি অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়; এটি তাদের এখতিয়ার, যার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তার মানে বিমানের তরফ থেকে হজ প্যাকেজ কমার কোনো সুযোগ নেই।

সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের বেজ ফেয়ার বেড়েছে ১৫ শতাংশ (ডলারে)। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এটিকে বড় অংক মনে হচ্ছে। মেইনটেইনেন্স কস্ট, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, জেট ফুয়েল, ট্যাক্স ও সারচার্জ সব কিছুই বেড়েছে। ডলারের মূল্য বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ; জেট ফুয়েলে প্রায় ১৯ শতাংশ। এয়ারপোর্টের বিভিন্ন চার্জ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে ভাড়া কিন্তু ঠিকই আছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এসব হজ প্রত্যাশীদের ৫০ শতাংশকে (৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে) পরিবহন করবে।

চলতি বছর ২১ মে থেকে স্থানীয় সময় রাত তিনটা ৪৫ মিনিট থেকে হজ প্রত্যাশীদের বহনকারী বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩০০১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। প্লেনটি সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় জেদ্দার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ৮৭ ড্রিমলাইনার প্লেন ব্যবহৃত হবে। প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অঙ্কনের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স! Oct 18, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে: রফিকুল ইসলাম খান Oct 18, 2025
img
সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য! Oct 18, 2025
img
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Oct 18, 2025
img
ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি’তে তুরস্কের অবদান রয়ে: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 18, 2025
img
চীনে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীর ৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত Oct 18, 2025
img
প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, প্রতিযোগিতার রাজনীতি করুন: জুয়েল Oct 17, 2025
img
শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারো না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ: মির্জা আব্বাস Oct 17, 2025
img
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের Oct 17, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের দাবিতে রঙ তুলিতে প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের Oct 17, 2025
img
আগামীকাল রিয়া মনিকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করব : হিরো আলম Oct 17, 2025
img
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল Oct 17, 2025
বাজারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হলে মুখ লুকাতে হয় Oct 17, 2025
img
মার্টিন ওডেগোর ছিটকে যাওয়ায় আর্সেনাল শিবিরে বড় ধাক্কা Oct 17, 2025
img
মরক্কোয় জেন-জি বিক্ষোভে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীকে কারাদণ্ড Oct 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের সেইফটি নিয়ে চিন্তিত: সারজিস Oct 17, 2025
img
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল Oct 17, 2025
img
গাজায় ৩ মাসের খাদ্য মজুত আছে : ডব্লিউএফপি Oct 17, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে অভ্যুত্থানে সঙ্গে বেঈমানি হবে : তাহের Oct 17, 2025
img
রংপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলার ঘটনায় সড়ক অবরোধ Oct 17, 2025