পোলট্রি মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ করপোরেট কোম্পানিগুলোকে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অনথ্যায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও সতর্কসংকেত দিয়েছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।
বুধববার (২২ মার্চ) এক চিঠিতে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়। চিঠিতে কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারির নাম উল্লেখ রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ মার্চ এক সভায় পোলট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা যৌক্তিকমূল্যে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি করবেন মর্মে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাজারে তা পরিলক্ষিত হয়নি। বরং আরও অধিকমূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে, যা ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ২১ (খ) ধারা’ অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধ।
এর আগে ৯ মার্চ পোলট্রি মুরিগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের সাথে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। ওই সভায় পোলট্রি মুরগি উৎপাদন ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ২০০ টাকার অধিক নয় মর্মে মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অবহিত করে।
কিন্তু বুধবার সরেজমিনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কর্তৃক যৌথ তদারকিকালে ২৭০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে মুরগি বিক্রি করতে দেখা যায়।