১৭ ওভারের ম্যাচেও দুইশ ছাড়াল বাংলাদেশ

কখনও লং অফ, কখনও লং অন আবার কখনও পুল শটে বল বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। নান্দনিক সব শট বাংলাদেশকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন তারা দুজন। হাফ সেঞ্চুরির আগে রনি ফিরলেও লিটন ছিলেন স্পট অন। খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। শেষ দিকে রানের গতি সচল রেখেছেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। তাতে ১৭ ওভারের ম্যাচে ২০২ রান তোলে স্বাগতিকরা।

লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানিকে দিয়ে বোলিং শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম না করলেও ৮ রান দিয়েছিলেন ডেলানি। পরের ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে দুই চার মেরেছেন রনি ও লিটন। সময় যত বেড়েছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ততই আক্রমণাত্বক হয়েছেন। তাতে মাত্র ৩.৩ ওভারে দলের পঞ্চাশ পেরোয় বাংলাদেশ। ১৭ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় এদিন পাওয়ার প্লে ছিল ৫ ওভার।

সেখানে ব্যাটিং-তাণ্ডব চালিয়ে লিটন ও রনি মিলে তুলেছেন ৭৩ রান। যেখানে বেশিরভাগ রানই এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। আইরিশ বোলারদেরে তুলোধুনো করতে থাকা লিটন বেন হোয়াইটের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের হয়ে যা দ্রুততম। এর আগে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা মোহাম্মদ আশরাফুলের হাফ সেঞ্চুরি ছিল ২০ বলে।

এদিন ১৬ বছরের পুরোনো সেই রেকর্ড ভেঙেছেন লিটন। এদিকে হোয়াইটের আউট সাইড লেগ স্টাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে লিটন চার মারলে একশ পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে একশ ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা। শুধু তাই নয় সেই চারে ছাড়িয়ে গেছেন নাইম শেখ ও সৌম্য সরকারের করা ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড।

৮ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রনি। টানা দুই হাফ সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল ৩২ বছর বয়সি এই ওপেনারের। তবে তাকে সেটা করতে দিলেন না হোয়াইট। ডানহাতি এই স্পিনারকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যাডায়ারেরে হাতে ধরা পড়েন ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলা রনি। তাতে ভাঙে বাংলাদেশের রেকর্ড ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

আগের ম্যাচে শেষের দিকে ব্যাটিং করলেও এদিন তিনে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। হোয়াইটের বলে লং অন দিয়ে চার মেরে প্রথম বলেই রানের খাতা খোলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস পেরিয়ে গেলেও প্রথমবার সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি লিটনের। খানিকটা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার।

হোয়াইটের ওয়াইড তাড়া করতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ৪১ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রান করা লিটন। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব। মাত্র ২৪ বলে পঞ্চাশ পেরিয়েছে তাদের দুজনের জুটি। শেষ ওভারে অ্যাডায়ারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে ফিরে গেছেন ১৩ বলে ২৪ রান করা হৃদয়। এদিকে সাকিব অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে।

Share this news on: