কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস? উপকারী না ক্ষতিকর জেনে নিন

সারাদিন নানা ব্যস্ততার পরে রাতের বেলা নিশ্চিন্ত ঘুম। এইটুকু প্রশান্তি প্রত্যাশা করি আমরা সবাই। নানা ধকল সামলে আমাদের শরীর যেমন বিশ্রাম চায়, তেমনই বিশ্রাম চায় আমাদের মনও। রাতের ঘুমটুকু যেন প্রশান্তির হয় সেজন্য আমাদের চেষ্টার কমতি থাকে না। কারও কারও অভ্যাস থাকে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর। এতে ঘুম আরও ভালো হয় বলেই দাবি তাদের। আপনারও কি এমনটা অভ্যাস রয়েছে? এই অভ্যাসের ফলে কি আসলেই কোনো উপকার হয় না ক্ষতি ডেকে আনে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

লাভ না ক্ষতি?

বিজ্ঞান বলছে, আপনার যদি কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। কারণ এই অভ্যাস ক্ষতিকর নয়। কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমালে শরীর লাভবানই হয়। এটি ভালো অভ্যাস। এবার তো তাহলে নিশ্চিন্ত হলেন। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমালে শরীরের কী উপকার হয়-

মেরুদণ্ড ভালো থাকে

আপনি যখন দুই পায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমান তখন মেরুদণ্ডের উপকার হয়। এই অভ্যাসের ফলে কমে আসতে পারে মেরুদণ্ডের বিভিন্ন ব্যথা। কারণ এই অভ্যাসের ফলে মেরুদণ্ডের আকার ঠিকঠাক থাকে। অপরদিকে দেখা গেছে, যাদের কোলবালিশ ছাড়া পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস, তাদের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

সায়াটিক নার্ভের ব্যথা কমে

কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা কমে। যাদের পিঠে ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করলে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হতে পারে। এভাবে ঘুমালে পিঠের পেশির উপরেও চাপ কম পড়ে।

চিৎ হয়ে ঘুমালে

অনেকে পাশ ফিরে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে। আপনারও যদি একই অভ্যাস থেকে থাকে, তবে একটি কাজ করতে পারেন। ঘুমানোর সময় মেরুদণ্ডের নিচে পাতলা একটি কোলবালিশ রেখে দিতে পারেন। এতে পিঠে ব্যথা থাকলে দূর হবে, সেইসঙ্গে মেরুদণ্ডও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে।

গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে

বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় গর্ভবতীদের কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস দেন। তবে তা সাধারণ কোলবালিশের মতো নয়, সেগুলোর আকৃতি বিশেষ হয়। সেই কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাসের ফলে ভ্রূণ সঠিক অবস্থানে ও নিরাপদে থাকে। তবে এ ধরনের বালিশ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুতিনের ওপর আবারও হতাশা প্রকাশ করলেন ট্রাম্প Sep 19, 2025
img
শাহরিয়ার ইমন থেকে সালমান শাহ নামের পেছনের গল্প Sep 19, 2025
img
ব্যক্তিজীবনের প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন তানিশা মুখার্জি Sep 19, 2025
img
শুরু হলো দৃশ্যম ৩-এর শুটিং Sep 19, 2025
img
রাজনীতির শুরুতেই মামলায় জড়ালেন থালাপতি বিজয় Sep 19, 2025
img
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে প্রাণ হারালেন মাদারীপুরের জীবন Sep 19, 2025
img
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের সময়সূচি প্রকাশ Sep 19, 2025
img
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: ড. ইউনূস Sep 19, 2025
img
পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তির পরই তেহরান-রিয়াদের দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ Sep 19, 2025
img
জাতীয় দলের পেসার এবাদত হোসেনের বাবা আর নেই Sep 19, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে ৫ নারী, ১ হিন্দু শিক্ষার্থী Sep 19, 2025
img
৭ বিভাগীয় শহরে আজ জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি Sep 19, 2025
img
বিলম্ব সিদ্ধান্তে দেশীয় অর্থনীতির ক্ষতি Sep 19, 2025
img
ড্রোন তদারকি করবে এআই, কিম জং উনের নতুন নির্দেশ Sep 19, 2025
img

ট্রাম্পের হুমকি

আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে Sep 19, 2025
img
স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী একটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে : প্রিন্স Sep 19, 2025
img
ইন্দিরা রোডে অভিযানে গাজীপুর আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার Sep 19, 2025
img
জয় দিয়ে মৌসুম শুরু বার্সেলোনা-ম্যানচেস্টার সিটির Sep 19, 2025
img
জামালপুরে হাসপাতালে দুদকের অভিযান, খাবারের তালিকা দেখাতে ব্যর্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ Sep 19, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত Sep 19, 2025