গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেল রেজা-নুরের দল

৯ মাসের মাথায় ভেঙে গেল সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ এ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে শুধু গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে যুগপৎ আন্দোলন আরও বেগবান করতে গণঅধিকার পরিষদ কাজ করবে। তাছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের বিরূপ আচরণে নেতাকর্মীরা অনেকটা হতাশ ছিল। রাতেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান তিনি।

গত বছরের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাত দলীয় জোটের গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ হয়। জোটভুক্ত দলগুলো হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাষানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে যাওয়ায় গণতন্ত্র মঞ্চে আর ছয়টি দল রইল। এখন থেকে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সেই সঙ্গে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের এমন সিদ্ধান্তের কথা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও পাইনি। তবে গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের বেশ কিছু অরাজনৈতিক বক্তব্য, রাজনৈতিক তৎপরতা এবং মঞ্চের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের ব্যাপারে শরিক দলগুলোর মধ্যে অস্বস্তি ছিল, আপত্তি আছে। এ নিয়ে বেশ কিছু সমালোচনা আছে। এসব আমাদের মধ্যে বিবব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। আগামীকাল রোববার গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের অসাংগঠনিক আচরণসহ আরও বিষয় মিলে আলোচনা হওয়ার কথা। এ এজেন্ডা ওদের সামনেই ঠিক করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২ মে অনুষ্ঠিত মঞ্চের বৈঠকে তাদের নেতা রাশেদ খানসহ তিনজন এসেছিলেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সীমানা নির্ধারণে আদালতের রায় মেনে চলবে ইসি Sep 18, 2025
img
বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহালে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা Sep 18, 2025
img
সততার জন্য বাংলাদেশি তরুণকে পুরস্কৃত করল দুবাই পুলিশ Sep 18, 2025
img
দুর্নীতি দূর না হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনর্গঠন হবে না : বদিউল আলম Sep 18, 2025
img
অ্যানফিল্ডে দর্শক বিতর্কে লাল কার্ড পেলেন কোচ সিমিওনে Sep 18, 2025
img
আমার কাছে মাঝে মধ্যে মনে হয়, সরকার আছে নাকি নেই : রাশেদ খান Sep 18, 2025
img
৭ কলেজ ইস্যুতে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা Sep 18, 2025
img
দেশের মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত : নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
আমাকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল: নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড Sep 18, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
ঢাকায় ফ্রান্স চালু করল অত্যাধুনিক ভিসা সেবা কেন্দ্র Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর অচল : নিলোফার মনি Sep 18, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল Sep 18, 2025
img
ফিরেছে নেহাল, স্কোয়াডে নেই আরিফিন Sep 18, 2025
img
সৌদির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রধান সঙ্গী এখন পাকিস্তান Sep 18, 2025
img
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের গোপন মিশন : রনি Sep 18, 2025
img
পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি নিয়ে ভারতের বার্তা Sep 18, 2025
img
কলকাতার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ Sep 18, 2025
img
কথা রাখলেন যোগী আদিত্যনাথ, দিশার বাড়িতে হামলাকারী ২ জন নিহত Sep 18, 2025