আত্মগোপন না বিএনপি'র ফাঁদ থেকে ধরা দিলেন চাঁদ?

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল তিনি রাজশাহী মহানগরীর কোন একটি বাসায় আত্মগোপনে আছেন। আবার আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলছেন, আত্মগোপন থেকে তাকে অন্তর্দান করে ফায়দা লুফে নিতে চাচ্ছিল বিএনপি। যার নীল নকশা করেছেন লন্ডন থেকে তারেক রহমান। এমন অবস্থায় ফাঁদ থেকে বেরিয়ে পুলিশের হাতে নিজেকে সোপর্দ করলেন চাঁদ।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক এই চাঁদ। ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন আবু সাঈদ চাঁদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা বা ১০ দফা নয়। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে।’

এরপর দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। খোদ মার্কিন দূতাবাসও এর প্রতিবাদ জানায়। আর তখনই এ নিয়ে 'ইলিয়াস আলীর অন্তর্দান' নকশা লন্ডন থেকে পাঠান তারেক রহমান- আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার বক্তব্য এমনই।

তবে এই লন্ডন নকশা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে থাকেন চাঁদ। একটি মাইক্রোবাসে করে অবস্থান বদলে পুলিশকে জানান দেন। পুলিশ সেই মাইক্রোবাস থেকে থাকে ধরে আনে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন বলেন, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন। এর প্রেক্ষিতে চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তিনি রাজশাহী মহানগরীর কোনো এক এলাকায় আত্মগোপনে আছেন। 

তিনি আরও বলেন, চাঁদকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। তিনি মাইক্রোবাসযোগে অন্যত্র আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে নগরীর ভেড়িপাড়া এলাকায় একটি মাইক্রোবাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। যেহেতু এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে তাই তাকে পুঠিয়া থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

ডিআইজি আব্দুল বাতেন বাংলাদেশ টাইমস কে জানান, তার আত্মগোপন এবং হুমকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তারা দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে পুলিশ। 

লন্ডন থেকে তারেক রহমান তাকে কোন নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিনা এবং কেন তিনি হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বিস্তারিত তার কাছে জানতে চাইবে পুলিশ- জানান রাজশাহী পুলিশের ডিআইজি বাতেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচনে যেকোনো কারসাজি দেশের জন্য বিপজ্জনক : জাহেদ উর রহমান Nov 25, 2025
img
৩য় বারের মতো ভারত সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু Nov 25, 2025
img
মেজাজ হারিয়ে সতীর্থকে চড়! Nov 25, 2025
img
সাগরে আরও একটি লঘুচাপ, আরও ঘনীভূত হতে পারে আগেরটি Nov 25, 2025
img
যশোরে যুবদল নেতা আটক Nov 25, 2025
img
জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুখের ভাষায় দুর্ভিক্ষ - স্ট্যাটাস দিয়ে এনসিপি নেতার পদত্যাগ Nov 25, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মীর মুগ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ‘কালিমা লেপন’ Nov 25, 2025
img
ইএফটি নিয়ে নতুন নির্দেশনা শিক্ষা অধিদফতরের Nov 25, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা, ভোট ২০ জানুয়ারি Nov 25, 2025
img
রাজনৈতিক কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে পারবে না: সিইসি Nov 25, 2025
img
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ১৮ পদে বেতনক্রম পুনর্গঠনের প্রস্তাব Nov 25, 2025
img
দেশের সরকারি কলেজগুলোকে ৪ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার Nov 25, 2025
img
ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে : সানাউল্লাহ Nov 25, 2025
img
ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি: ভারত-গালফ ফ্লাইট বাতিল Nov 25, 2025
img
দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক Nov 25, 2025
img
সম্রাট আকবর ও টিপু সুলতানের নাম থেকে ‘গ্রেট’ অপসারণ, বিতর্ক কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে Nov 25, 2025
img
এনবিআরের ১৭ জনের সম্পদ জব্দ-বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক Nov 25, 2025
img
পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই নির্বাচন দেখতে চাই : সিইসি Nov 25, 2025
img
হানিফসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু ৮ ডিসেম্বর Nov 25, 2025
img

সিইসি

আমাদের এজেন্ডা একটাই, একটি ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া Nov 25, 2025