আম দিয়ে রূপচর্চা করার ঘরোয়া উপায়

মিষ্টি ও রসালো স্বাদের আম খেতে কে না পছন্দ করে! সুস্বাদু এই ফল আমাদের শরীরে নানাভাবে পুষ্টির জোগান দেয় সেকথা জানা আছে নিশ্চয়ই? এখানেই শেষ নয়, ত্বক ভালো রাখতেও সমানভাবে কাজ করে আম। জেনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? ত্বকের যত্নে এই সুস্বাদু ফলের ব্যবহারের কথা অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক ভালো রাখতে আমের ব্যবহার সম্পর্কে-

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

আমে থাকে ভিটামিন সি, এ, ই ও বি৬। এই ভিটামিনগুলো ত্বক ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে আমে থাকে কপার এবং ফোলেট। এই উপাদানগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাই ত্বকের যত্নে আমের ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয় দ্রুতই।

ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ুক এমনটা চান না নিশ্চয়ই? অনেকের আবার বয়সের আগেই ছাপ পড়ে যায়। এসব সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে আম। আমের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান করে। ফলে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। বয়স বাড়লেও বজায় থাকে তারুণ্য।

ত্বকের কোষ ভালো থাকে

ভিটামিন সি এবং ই কোষ ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমে পাওয়া যায় এই দুই ভিটামিনই। উপকারী এই দুই ভিটামিন ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের ঘাটতি পূরণ করে।

আমের ফেসপ্যাক

বাড়িতে তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন আমের ফেসপ্যাক। সেজন্য একটি পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর তার সঙ্গে ১ চা চামচ টক দই এবং ৩ চা চামচ মুলতানি মাটি মেশান। সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট বিশেক। তারপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

গোলাপ জল ও আম

গোলাপ জল ও আম দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। সেজন্য একটি আমের পাল্পের সঙ্গে ২ চা চামচ মুলতানি মাটি, টক দই এবং গোলাপ জল মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট পনেরো। তারপর ধুয়ে নিন।

বেসন ও আমের ফেসপ্যাক

বেসনের সঙ্গে আম মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। সেজন্য ৪ টেবিল চামচ আমের পাল্পের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ টকদই মিশিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিলেই ফেসপ্যাক তৈরি। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট পনেরো। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একই রানওয়েতে সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইট, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন Jul 23, 2025
পাকিস্তানের হার দেখে আত্মসমর্পণ করেছেন জলিল চাচা; টাইগার শোয়েব" Jul 23, 2025
img
এমন বাংলাদেশ আসলেই আমরা প্রত্যাশা করিনি : নিলুফার চৌধুরী Jul 23, 2025
img
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুললেন ট্রাম্প Jul 23, 2025
img
এসিসি সভা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে চাপের মুখে বিসিবি Jul 23, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার বাজারদর Jul 23, 2025
img
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা বাড়ার আভাস Jul 23, 2025
img
গাজায় গণহত্যা নিয়ে যারা নীরব থাকবে তারাই এর সাথে জড়িত: এরদোয়ান Jul 23, 2025
img
নিজের বাড়িতেই পাঁচ বছর ধরে হেনস্থার শিকার, দাবি তনুশ্রীর Jul 23, 2025
img
মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় সন্তানদের হারিয়েছে : প্রিন্স Jul 23, 2025
img
ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছাড়া আর কোনো কিছু আমি হিসাব করি না: জাকের আলী Jul 23, 2025
img
প্রোটিয়া ব্যাটারের রেকর্ড ইনিংসে থামল টাইগার যুবাদের হোয়াইটওয়াশ স্বপ্ন Jul 23, 2025
img
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন নিহতদের জান্নাত নসীব করেন: পড়শী Jul 23, 2025
img
জাপানের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের Jul 23, 2025
img
রূপের মানদণ্ডে বিচার, হারিয়ে যাচ্ছিল আত্মবিশ্বাস Jul 23, 2025
img
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের কনসার্ট থেকে আয়ের অংশ দান করবেন জেমস Jul 23, 2025
img
আজ কুমিল্লায় এনসিপির পদযাত্রা Jul 23, 2025
img
শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৭৫ বছরের রাকেশ রোশান Jul 23, 2025
img
আজ আংশিক মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ Jul 23, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর কাম্পালা, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Jul 23, 2025