মঙ্গলবার থেকে বাজারে আর বিক্রি করা যাবে না খোলা সয়াবিন তেল। খোলা তেল বিক্রিতে এদিন থেকে কার্যকর হচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, পরিস্থিতি তদারকি করতে ১ আগস্ট থেকেই মাঠে থাকবে সংস্থাটি। অবশ্য ভোক্তাদের দাবি, নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে আরেকটু সময় দেওয়া উচিত।
দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে আসে মাত্র ৩ লাখ টন বা ১২ শতাংশ। চাহিদার বাকি ৮৮ শতাংশই পূরণ হয় আমদানি করা সয়াবিন ও পাম অয়েল থেকে। আমদানি করা সয়াবিন তেলের ৬০ শতাংশ এবং পাম অয়েলের ৯৭ শতাংশই বিক্রি হয় খোলা অবস্থায়।
এ অবস্থায়, ১ আগস্ট থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল বন্ধসহ মান বজায় রাখতেই প্যাকেটজাত করে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি কার্যকরে মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এ বছর থেকে সয়াবিন তেলটাকে আস্তে আস্তে প্যাকেটজাত করার উদ্যোগ নিয়েছি। ভোক্তা অধিকার থেকে আমরা ইতিমধ্যে প্রতিটি রিফাইনারিতে চিঠি দিয়েছি, বিভিন্ন বাজারে চিঠি দিয়েছি। ১ আগস্ট থেকে আমরা এটিকে মনিটরিংয়ের মধ্যে আনব। রিফাইনারিগুলো প্যাকেটজাত করার জন্য তিনবার সময় নিয়েছে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, তেল রিফাইনারি কোম্পানিগুলো সরকার নির্ধারিত দামে প্যাকেটজাত করলে সুবিধা পাবে ক্রেতারা। এক বিক্রেতা বলেন, ‘খোলা তেলটা যদি প্যাকেটজাত করে দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য এটি কষ্টকর হবে না।’
অন্যদিকে ভোক্তারা বলছেন, খোলা সয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের কথা ভেবে আরেকটু সময় দেওয়ার দাবি তাদের।
২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।