শাবিতে ছাত্রলীগ নেতার মাথা থেঁতলে দিল প্রতিপক্ষ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইট দিয়ে এক ছাত্রলীগ নেতার মাথা থেঁতলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর জখম হওয়া রাজিব সরকারকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ছাত্র ও বিভাগের সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক। রাজিব শাখা ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ভূঁইয়ার অনুসারী বলে পরিচিত।

খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আবদুল গণি, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. রাশেদ তালুকদার, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশ্রাফুল করিম, প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ, সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি দোকানে যান রাজিব সরকার। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৬ থেকে ৭ জন তরুণ ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, ইট ও পাইপ নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলার করে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। হামলায় রাজিবের মাথায় গুরুতর জখম হয়। এতে তার মাথায় ২০টির মতো সেলাই দিতে হয়।

আহত রাজীব বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় হুট করে পেছন থেকে ইংরেজি বিভাগের রিশাদ হাসান, লোক প্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, সোহাগ ইসলাম, সজীব, আবদুল বারী, মাহবুব আল আমিনসহ আরও কয়েকজন আমাকে আঘাত করে। তারা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করার পাশাপাশি পিঠে রড দিয়ে আঘাত করে।

এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ভূঁইয়া, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী, তারা আহত রাজিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। স্যারদের সঙ্গে বসে সমাধান করা হচ্ছে।’

এর আগে ১০ মার্চ ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ওসমানী মেডিকেলের কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক জানান, রাজিবের মাথার চারটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে শঙ্কামুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর (সিটিস্ক্যান) বিস্তারিত বলা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে খুব শিগগিরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শাবি ছাত্রলীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: