এমন একপেশে ফাইনাল ক্রিকেট ইতিহাসে খুব কমই হয়েছে। এবারের এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে ভারত। মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঈশান কিষান ও শুভমান গিলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৬.১ ওভারে ১০ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। একই সঙ্গে এশিয়া কাপের অষ্টম শিরোপাও নিজেদের করে নেয় তারা।
অষ্টম শিরোপা জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫১ রান। ছোট্ট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ভারত। দলের দুই ওপেনার ঈশান কিষান ও শুভমান গিল মারমুখী ছিলেন প্রথম থেকে।
৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। দ্বিতীয় ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে টানা তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান গিল। কিষান-গিল ঝড়ে প্রথম ৫ ওভারেই ৪৫ রান পেয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। শেষ পর্যন্ত ৬.১ ওভারে ৫১ রান করে লঙ্কানদের ১০ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ভারত।
এর আগে, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের বিপদই ডেকে আনে দাসুন শানাকা। প্রথম ব্যাট করতে নেমে এমন চরম বিপর্যয়ে পড়তে হবে সেটি জানলে হয়তো নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতেন তিনি।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেটে দেখা পায় ভারত। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশাল পেরেরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান সিরাজ। একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন লঙ্কান ৪ ব্যাটারকে।
ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে ফেরান সিরাজ। তৃতীয় বলে তিনি এলবিডব্লিউ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০)। পরের বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে আউট করলে হ্যাটট্রিকের দারুণ সুযোগ পান তিনি। তবে সিরাজের সেই হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। যদিও পরের বলেই আউট হন তিনি। অবিশ্বাস্য বোলিং করে ওই ওভারে ৪ উইকেট নেন সিরাজ।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে আবারও উইকেটের দেখা পান সিরাজ। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে উড়িয়ে পূরণ করে নেন ফাইফার শেষ পর্যন্ত ৭ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ২১ রানে ৬টি উইকেট নেন সিরাজ। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ রানে নেন ৩ উইকেট।