বাজারে শীতকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম নাগালের বাইরে

বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে, তারপরও আগের সেই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতোই উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ঘুরলেও দাম কমেনি কোনো সবজির। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়, সিম ২০০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শসা কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, মোটামুটি সব ধরনের সবজির দামই বেড়েছে। শীতকালে বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। তবে এ বছর টানা বৃষ্টির কারণে সবজি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বাজারে সবজি তুলনামূলক কম। তাই সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে শীতের সবজি।

স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, সব সবজির দামই বাড়ছে। যেগুলা ৫০-৬০ টাকা ছিল, সেগুলা ৭০-৮০ টাকা হয়েছে। শীতের সবজি বাজারে আসতেছে, চাহিদাও আছে। পুরা লটে আসতে থাকলে দাম কিছুটা কমবে আশা করি।

তবে সবজির এমন উচ্চমূল্য বিপাকে ফেলছে সাধারণ ক্রেতাদের। কাঁচাবাজার করতে আসা ক্রেতা আলামিন হোসেন বলেন, সব কিছুর দামই তো বেড়েছে। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষরা যে টিকে থাকব, তার অবস্থা নেই। মাছ-মাংসের কথা তো বাদই দিলাম, শাক-সবজির দামও যদি এমন বাড়ে, তাহলে তিন বেলার জায়গায় দু-বেলা খেতে হবে।

আরেক ক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, গরিব মানুষের সস্তার খাবার হলো শাক সবজি। সেটার দামও যদি এমন থাকে তাহলে খাবে কি? যে টাকা নিয়ে আসলে আগে ব্যাগ ভরে সবজি নিয়ে বাড়িতে যেতাম, এখন সেই পরিমাণ টাকায় ব্যাগের অর্ধেকও ভরে না।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্বর্ণ ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে ২০২৬ এর মধ্যেই! Oct 14, 2025
img
সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শিরোপা হাতছাড়া Oct 14, 2025
img
টেইলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম রেকর্ড ভাঙল অ্যাডেলের Oct 14, 2025
img
লম্বা বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা Oct 14, 2025
img
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য Oct 14, 2025
img
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাড়ি নির্মাণের খরচ Oct 14, 2025
img

বিবিসিকে জর্ডানের বাদশাহ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হবে Oct 14, 2025
img
দেশের সরকারগুলোর বড় দুর্বলতা দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় : মাসুদ কামাল Oct 14, 2025
img
আর নেই প্রবীণ অভিনেত্রী ইন্দিরা দেবী Oct 14, 2025
img
সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ Oct 14, 2025
img
শিক্ষকরা মর্যাদা না পেলে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয় : নুরুল হক নুর Oct 14, 2025
img
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে গুঞ্জনে বিসিবির স্পষ্ট বার্তা Oct 14, 2025
img
জয়পুরহাট এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ Oct 14, 2025
img
অভয়নগরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার Oct 14, 2025
img
অভয়নগরে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি, অস্ত্র উদ্ধার Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩য় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ Oct 14, 2025
img
সম্মান রক্ষার মিশনে টাইগাররা, চোখ এখন পরের সিরিজে Oct 14, 2025
img
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই হবে: আইন উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
জামিন হওয়ার পর এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
ওয়ার্ল্ড হেলথ সামিটে যোগ দিচ্ছেন কৃতি! Oct 14, 2025