এ. কে. আজাদের প্রার্থিতা বহাল

ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর এ. কে. আজাদের হলফনামার দৈত্ব নাগরিকের তথ্য গোপন, সম্পদবিবরণী ও নির্ভরশীলদের বিষয়ে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ এনে ইসিতে আপিল করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ. কে. আজাদের পক্ষে আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদন জমা দেন। আপিলে বলা হয়, শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর-BESHC8751, জন্ম তারিখ ২১ অক্টোবর ১৯৬০ লেখা আছে। শামীম হক সম্প্রতি তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে এক দরখাস্ত দাখিল করেন। সেই দরখাস্তের ২৫ নং কলামে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নং কলামে অন্য দেশের নাগরিক থাকলে সেই দেশের নাম উল্লেখ করতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি নেদারল্যান্ডস উল্লেখ করেছেন। ২৭ নম্বর কলামে তার নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট নম্বর BY60F0J74 উল্লেখ করা আছে।

এতে আরো বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১) (৬) অনুচ্ছেদের বিধানমতে, শামীম হক একজন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না, তিনি অযোগ্য প্রার্থী। এছাড়াও তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(২)(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রদত্ত এফিডেভিটে বিষয়টি গোপন করায় তার ঘোষণাটি মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। সে কারণেও তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অবৈধ প্রার্থীদের আপিল কার্যক্রম চলেছে ৫-৯ ডিসেম্বর। এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর। যা চলবে আজ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

Share this news on:

সর্বশেষ