শীতে হজমে সহায়তা করে যেসব ফল

শীতে অনেকেই শরীরচর্চা করতে আলস্য বোধ করেন। এ সময় আবার উৎসব, আয়োজন লেগেই থাকে। এ কারণে খাওয়া দাওয়াও হয় বেশি বেশি। সব মিলিয়ে ওজন বাড়ার একটা শঙ্কা বাড়ে। সেক্ষেত্রে ডায়েটে সঠিক খাবার যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন ফল রাখা জরুরি। ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ হজমে সহায়তা করে। কম-ক্যালোরিযুক্ত খাবারের বিকল্প হওয়ায় ফল ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার ফল শীতকালীন অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ ডা. নীতি শর্মা শীতের মৌসুমে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন ফল সেরা তা জানিয়েছেন ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে।

আপেল : আপেল ফাইবার সমৃদ্ধ এমন একটি ফল যা হজমে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি এই ফল খেলে পেট ভরা অনুভূত হয়। ফলে ক্ষুধা কম অনুভূত হয়।

বেরি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাসবেরির মতো বেরিগুলি কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এতে ক্যালরিও কম। এই ফলগুলি দই, সালাদে যোগ করা যেতে পারে । বেরি জাতীয় ফল পুষ্টি এবং ফাইটোকেমিক্যালের একটি ভাণ্ডার। নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে।

নাশপাতি : নাশপাতি পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় এই ফল হজমে সহায়তা করে। কম ক্যালরিযুক্ত এই ফল ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।

জাম্বুরা : যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা বিপাকে সহায়ক এই ফলটি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। জাম্বুরায় থাকা এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

কমলালেবু: ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, কমলা শুধুমাত্র খেতেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও অবদান রাখে। এতে থাকা ভিটামিন সি শীতের সময় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়িয়ে তোলে।

কিউই: পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং কম ক্যালরিসম্পন্ন কিউই হল ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবারের উৎস। ফলের সালাদ এবং স্ন্যাকস হিসেবেও এই ফলটি খেতে পারেন।

ডালিম: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ডালিম শরীরে পুষ্টি জোগায়, পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ডা. শর্মা বলেন, এই ফলগুলি শুধুমাত্র ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও সরবরাহ করে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক।

Share this news on: