দুর্দান্ত জয়ে সেমিফাইলের পথ সহজ করল বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে পরাজয় দিয়েই চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে গ্রুপ পর্বের পরের ম্যাচগুলোতে জয়ে সুপার সিক্সে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের কারণে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থাকায় মাহফুজুর রহমান রাব্বিদের সেমিফাইনালে ওঠা বেশ কঠিন।

সুপার সিক্সের দুই ম্যাচে বড় জয় ছাড়া শেষ চারে যাওয়া সুযোগ নেই টাইগারদের। সে সমীকরণ বিবেচনায় সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেট ও ১৪৮ বল হাতে রেখে হারিয়েছে টাইগাররা। নেপালের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য ২৫.২ ওভারে টপকে যায় বাংলাদেশ।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলতে হলে দুই ম্যাচ অবশ্যই জিততে হবে টাইগারদের। তবে শুধু জিতলেই হবে না, জয়ের ব্যবধানটাও হতে হবে বড়। কেননা, সুপার সিক্সে ক্যারি পয়েন্ট আর রানরেটের জটিল হিসেবে আটকে আছে যুব টাইগাররা।

এমন কঠিণ সমীকরণের ন্যাচে টসে হেরে আগে বোলিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের পাওয়ার প্লেতেই মাহফুজ রাব্বির দল দ্রুত সাফল্য পায়। প্রথম ১০ ওভারে ৩৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে নেপাল। যার শুরুটা করেছিলেন মারুফ মৃধা। বাঁ-হাতি এই পেসারের ডেলিভারিতে নেপাল ১৮ রানে ওপেনার বিপিন রাওয়ালকে হারায়। ওয়ানডাউনে নামা আকাশ ত্রিপাঠিও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। নেপালের চাপ বাড়িয়ে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে তিনি ফেরেন মাত্র ৩ রানে।

ইনিংসে শুরুর ধাক্কা আরও তীব্র হয় আরেক ওপেনার অর্জুন কামালের বিদায়ে। বর্ষণের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ১৪ রান। এমন চাপের মুখে নেপালকে সামনে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করেন অধিনায়ক দেভ খানাল ও বিশাল বিক্রম। মিডল অর্ডারের এই জুটিতে আসে ৬২ রান। দেভকে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফিরিয়ে টাইগারদের ব্রেকথ্রু এনে দেন অনিয়মিত স্পিনার জিসান আলম।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইউরোপে ‘রোহিঙ্গা সংকট’ তুলে ধরার আশ্বাস দিল প্রতিনিধি দল Sep 18, 2025
img
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা Sep 18, 2025
নাহিদ ইসলামকে জেরা শেষে যা বললেন আসামি পক্ষের আইনজীবী Sep 18, 2025
img
আসিফ মাহমুদের নতুন এপিএস রাহাত Sep 18, 2025
img
মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ: দ্য টাইমস Sep 18, 2025
img
প্রথম প্রেম মনে করার দিন আজ Sep 18, 2025
img
হিমাচলে বন্যার্তদের তোপের মুখে কঙ্গনা Sep 18, 2025
img
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতির বিরোধিতা করলেন ট্রাম্প Sep 18, 2025
img
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ Sep 18, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে Sep 18, 2025
img

শেষ ওভারে নবির ৫ ছক্কা

শ্রীলংকাকে ১৭০ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান Sep 18, 2025
img
আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Sep 18, 2025
img
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৫৬ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Sep 18, 2025
img
যারা পিআর নিয়ে কথা বলে তারা নির্বাচনের বিরোধিতা করে : টুকু Sep 18, 2025
img
অনেকেই চান দুর্নীতি থাকুক, কারণ তারা এ থেকে সুবিধা পান: ফাওজুল কবির Sep 18, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি ফেডারেশনকে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে : ডা. জাহিদ Sep 18, 2025
img
ফ্রান্সে বিক্ষোভ বেড়েই চলছে Sep 18, 2025
img
কয়েকটি রাজনৈতিক দল চায় দেশে যাতে নির্বাচন না হয়: মেজর হাফিজ Sep 18, 2025