ঈদের আগে কমল রেমিট্যান্স

সাধারণত ঈদুল ফিতরের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও এ বছর ঈদের আগের মাস মার্চে রেমিট্যান্স কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্চে যে রেমিট্যান্স এসেছে তা আগের মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এই অর্থ গত ফেব্রুয়ারি মাস এবং গত বছরের মার্চে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের তুলনায় কম। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন।

গত বছরের বেশির ভাগ সময়ে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি খুব ভালো না থাকলেও শেষের দিকে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে। গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও নভেম্বরে আসে ১৯৩ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার, যা আগের বছরে ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ৩ শতাংশ।

এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে এখন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। তবে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১২০ টাকারও বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছিল। এখন অবশ্য এই দর কমে ১১৫-১১৬ টাকায় এসেছে। বেশি দাম পাওয়ার কারণে বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় পাঠানো বাড়ছিল। আবার দেশ থেকে পাচার করা অর্থ কেউ কেউ প্রবাসী আয় হিসেবে দেখিয়ে ফেরত এনেছেন বলে মনে করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

Share this news on:

সর্বশেষ