গাজায় নিহত ৩৩ হাজার ছুঁই ছুঁই

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি।
 
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩২ হাজার ৯৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৭৫ হাজার ৫৭৭ জন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ২ হাজার ৯২২টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে মোট ১৪ হাজার ৫০০ শিশু এবং ৯ হাজার ৫৬০ জন নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৭ হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন।

পাশাপাশি গাজায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা উভয়ের যেকোনো একজন ছাড়াই বসবাস করছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৮৪ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ১৪০ জন সাংবাদিক এবং ৬৫ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৩১০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং ১২ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।

সম্প্রতি ইসরাইলকে গাজায় হামলা বন্ধের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)। কিন্তু সেই আদেশ না মেনে রামজানেও গাজায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
শুধু সংকটই নয় চলছে দুর্ভিক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উপত্যকার প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও ২ লাখ ৯০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ২৯৭টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাক : ঐশী Sep 18, 2025
img
প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান Sep 18, 2025
img
দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান Sep 18, 2025
img
মেটা উন্মুক্ত করলো নতুন ডিসপ্লে স্মার্ট গ্লাস Sep 18, 2025
img
গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল: বার্নি স্যান্ডার্স Sep 18, 2025
img
ঢাকায় আজ বিক্ষোভ করবে জামায়াতসহ ৭ দল Sep 18, 2025
img
জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সম্মেলন ব্যর্থ, ৭ নেতাকে বহিষ্কার Sep 18, 2025
img
তোমার অভাব প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি: অপু বিশ্বাস Sep 18, 2025
img
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড Sep 18, 2025
img
সমুদ্রে পাওয়া গেল ৮ ধরনের ভারী খনিজ Sep 18, 2025
img
‘ডাইরেক্ট থ্রোতে’ মাথায় বল লেগে মাঠের বাইরে আম্পায়ার Sep 18, 2025
img

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা সভা

‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ Sep 18, 2025
img
ঢাবির পরিবহনে ডিজিটাল রূপান্তর, চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং অ্যাপ Sep 18, 2025
img
অস্কারের সমালোচনায় এমি পোলার Sep 18, 2025
img
আলভারেজ বিতর্কের পর ফুটবলে পেনাল্টির নিয়মে বড় পরিবর্তন Sep 18, 2025
img
৩ বছর পরে হাবিবের জন্য নতুন গান লিখলেন অলিক Sep 18, 2025
img
বায়ার্নকে জেতানো ম্যাচে রেকর্ড গড়লেন কেইন Sep 18, 2025
img
কানাডায় খালিস্তানপন্থিদের ভারতীয় দূতাবাস দখলের হুমকি Sep 18, 2025
img
কলকাতায় বাধ্যতামূলক করা হলো বাংলা সাইনবোর্ড Sep 18, 2025