গরমে স্বস্তি দিতে তরমুজের জুড়ি নেই। অনেকেই এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে প্রায় প্রতিদিনই তরমুজ খাচ্ছেন। গরমে তরমুজ খেলে নানা উপকার আছে। গরমে কেবল শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজই করে তরমুজ। পানির অভাব পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে নানা খনিজের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে তরমুজ। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথলাইনের এক প্রতিবেদন থেকে উঠেছে তরমুজের নানান তথ্য। তরমুজে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব উপাদান হৃদরোগ থেকে শুরু করে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা কাজে লাগে।
শরীরের জন্য তরমুজের উপকারিতা
শর্করার মাত্রা বজায় রাখে: তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৮০, যা এক বাটি কর্নফ্লেক্সের সমান। তাই তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট কম। পুষ্টিবিদরা বলেন তরমুজ মিষ্টি হলেও এর গ্লাইসেমিক লোড ৫। এ কারণে এই ফল রক্তে শর্করার উপর তেমন কোনও প্রভাবই ফেলে না। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা তরমুজ খেতে পারেন।
লাইকোপেন সরবরাহ: তরমুজের ভিতরের যে লালচে রং, তার উৎস হল এই লাইকোপেন। এটি আসলে একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপেন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার প্রতিরোধী হিসাবেও কাজ করে এই যৌগ।
চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে: আমাদের চোখ ভালো রাখতে ভিটামিন এ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চিকিৎসকরা বলেন এক টুকরো তরমুজ থেকে প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। চোখ ভালো রাখতে প্রতি দিন ওই পরিমাণ ভিটামিন এ খেলেই যথেষ্ট।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে: তরমুজে আছে ‘সিট্রালিন’নামে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিড দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
পেশির জোর বাড়ায়: তরমুজে উপস্থিত পটাশিয়াম পেশির জোর বাড়ায়। শরীরচর্চার পর এক বাটি তরমুজ খেলে পেশিশক্তি বাড়ে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়েতে : তরমুজে থাকা ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি ত্বককে নরম, মসৃণ এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে। এটি পানিতে পরিপূর্ণ, ফলে নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও টানটান।